২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালাকে লঙ্ঘন করে আসনের বাইরে ভর্তি ও ১১ শতাংশের অতিরিক্ত ফি আদায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে, ভিকারুননিসায় একাদশ শ্রেণিতে বোর্ড নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত ফি আদায়, অনুপস্থিতি জরিমানা বেশি আদায় বাতিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করা হয় বলে রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য যাবেন বলে জানান আইনজীবী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডহক কমিটির চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে।
‘ভর্তি নীতিমালা ২০১৯’-এ বলা হয়েছে, পছন্দের কলেজ পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ভর্তি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এর জন্য গত বছর ১৮৫ টাকা নেয়া হয়েছে। এবার ১৯৫ টাকা নেয়া হবে। বিলম্ব ফি ৫০ টাকার বদলে ১০০ টাকা, ইয়ার লসের জন্য ১০০ টাকার বদলে ১৫০ টাকা নিতে হবে।
নীতিমালায় একাদশ শ্রেণিতে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি মফস্বল, পৌর (উপজেলা) এলাকায় এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা, ঢাকা ছাড়া অন্যসব মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার বেশি আদায় করা যাবে না। এ ছাড়া মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা হিসেবে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ, উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার ভর্তির সব আসনেই মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে। তবে বিভিন্ন কোটার মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাজধানীতে ৫ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদরে ৩ শতাংশ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন সব দপ্তরে ২ শতাংশ, বিকেএসপিতে ০.৫ এবং প্রবাসী ০.৫ শতাংশ করা হবে। যদি এসব কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে এ আসনে অন্য কাউকে ভর্তি করা যাবে না।