কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে গুলি চালানোর অভিযোগ ভারতের। পাল্টা অভিযোগ তুলছে ইসলামাবাদও। এতে, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সীমান্তের বাসিন্দারা।
এদিকে, আটক নেতাদের একে একে মুক্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, আগামী ১০ বছরে কাশ্মীর হবে ভারতের সবচেয়ে উন্নত রাজ্যগুলোর একটি।
সকাল হতে না হতেই সীমান্তে পাক-ভারত গোলাগুলির শব্দ এখন কাশ্মীরের নিত্যঘটনা। সবুজ, সুন্দর উপত্যকা জুড়ে এখন কেবলই বিস্ফোরণের ধোঁয়া। দেখে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই এখানকার বাসিন্দাদের। আতঙ্ক গ্রাস করে বসেছে তাদের।
স্থানীয়রা বলছেন, শিশুরা স্কুলে গিয়ে আটকা পড়েছে, যারা বাসায় রয়েছেন তারাও আবদ্ধ। কখন যে কোন পাশ দিয়ে গোলাগুলি শুরু হয়, কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। খুবই অস্বস্থিতে দিন কাটাচ্ছি।
শ্রীনগরের ৯শ' প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯৬টি খুলে দিলেও শিশুদের উপস্থিতি একেবারেই কম। এখনও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসেনি। আতঙ্কে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাচ্ছেননা অভিভাবকরা।
দু-দেশের উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানে হামলা চালানোর অভিযোগে দেশটিতে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশারকে ডেকে সতর্ক করেছে ইসলামাবাদ। তবে ভারতের দাবি, রাজৌরি, উরি, পুঞ্চ ও কাঠুয়া জেলার সীমান্তে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে প্রথমে হামলা চালায় পাক সেনারা। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে, স্বায়ত্বশাসন বাতিল করে কাশ্মীরকে অবরুদ্ধ করার ৬০ দিন পূর্ণ হওয়ায় শ্রীনগরে বিক্ষোভ করেছেন সাংবাদিকরা।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সরকারকে বলতে চাই, তারা যেন সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে হবে, সাংবাদিকদের কাজের ক্ষেত্রেও পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, অঞ্চলটির ৩৭০ ধারা বাতিল করা জরুরি ছিল, আগামী ১০ বছরের মধ্যে কাশ্মীর হবে ভারতের সবচেয়ে উন্নত শহরগুলোর একটি।
আর রাজ্যপাল জানালেন, আটক প্রত্যেক রাজনৈতিক নেতাকে একে একে মুক্তি দেয়া হবে। তবে এখনও কোনো জ্যেষ্ঠ নেতা ছাড়া পাননি। ১৪২ জন কিশোরকে এখন পর্যন্ত মুক্তি দেয়া হয়েছে।