ফাহিম সালেহর মৃত্যুতে গভীর শোক আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর
বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম ছিলেন অসাধারণ উদ্ভাবনী মেধাশক্তির অধিকারী। মেধাবী এই উদ্ভাবক বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস কোম্পানি, ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার তৈরির মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা সমাধান করে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন তিনি।
শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যৌথ উদ্যোগে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন অ্যাপস পাঠাও চালু করে রাজধানীর যাতায়াত সমস্যা সমাধান ও কর্মসংস্থানে কার্যকরী অবদান রেখেছেন ফাহিম।
তিনি বলেন, 'ফাহিমের মৃত্যুতে আমরা প্রযুক্তি খাতের আন্তর্জাতিক মানের অসাধারণ মেধাশক্তির অধিকারী একজন তরুণ উদ্ভাবককে হারালাম। তাঁর অভাব কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না।'
ফাহিমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি তিনি গভীর সমবেদনা জানান।
ফাহিম সালেহ নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে নৃশংসভাবে খুন হন। ওই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাঁর খণ্ডিত মাথা ও বিচ্ছিন্ন হাত-পাসহ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ফাহিমকে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো ধনী তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ওয়েব ডেভেলপার ফাহিমের বাবা সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে। মা নোয়াখালীর মানুষ। ফাহিম পড়াশোনা করেছেন তথ্যপ্রযুক্তিতে আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি রাইড শেয়ার অ্যাপ পাঠাওয়ের অন্যতম উদ্যোক্তা।
II প্রথম আলো II