তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারির কোটি কোটি টাকা! জেলে যেতে হল আবজালকে
তিন শতাধিক কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের দুই মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অফিস সহকারী আবজাল হোসেনের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে আবজাল আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
এদিকে, গত ২৩ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। এরপর তার আইনজীবী আবেদনটি ফেরত নেন।
অফিস সহকারী একটি তৃতীয় শ্রেনির পদ। তাই আবজাল হোসেনের বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার বিষয়টি দেশে চাঞ্চল্য তৈরি করে।
২০১৯ সালের ২৭ জুন দুদক উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কার্যালয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন।
মামলা দুটিতে আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া মামলায় দীর্ঘ সময় ধরে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে ২৮৪ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২০৭ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের অভিযোগও করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, আবজালের নামে থাকা সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদের পরিমাণ বেশি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এজাহারে আবজালের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
II কালের কণ্ঠ II