মিন্নির মৃত্যুদণ্ড না হলেও যেন যাবজ্জীবন হয় : রিফাতের বাবা
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় কিছুক্ষণের মধ্যে ঘোষণা করবেন আদালত। এরই মধ্যে এ মামলার একমাত্র জামিনপ্রাপ্ত আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি আদালতে হাজির হয়েছেন। আদালতে পৌঁছেছেন রিফাত শরীফের পরিবারও।
রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায়ে সব আসামির যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। মিন্নির মৃত্যুদণ্ড না হলেও যেন যাবজ্জীবন হয়। আজ বুধবার সকালে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, 'আমি চাইবো যারা প্রকৃত দোষী তাদের যেন আদালত সর্বোচ্চ শাস্তির রায় দেন আর যারা নির্দোষ তারা যেন নায্য বিচার পায়। ওই ছেলেগুলো (রিফাত হত্যা মামলার আসামি) এখনো উঠতি বয়সী। আজ তাদের পরিবারগুলো ধ্বংসের মুখে। আমি তো ছেলে হারিয়েছি, তারাও ধ্বংসের মুখে পড়েছে। শুধু মিন্নির প্ররোচনায় এমন ঘটনা ঘটেছে।'
তবে আসামিদের মধ্যে মিন্নি বেকসুর খালাস পাবেন বলে আশা করছেন তার আইনজীবী মাহবুবুল বারী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস মিন্নি আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস পাবে। মিন্নি তার স্বামী রিফাত শরীফকে সেদিন রক্ষা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে, যা ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রমাণ। শুধু তাই নয়, আহত রিফাত শরীফকে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে, এ মামলার রায়ে রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বেকসুর খালাস পাবে বলে প্রত্যাশা তার বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আমরা আসলেই হয়রানির শিকার। জীবন বাজি রেখে মিন্নি তার স্বামীকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো। অথচ মিন্নি প্রধান সাক্ষী থেকে এখন আসামির কাঠগড়ায়, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক