নোয়াখালীর সেই গৃহবধূকে আগে একাধিকবার ধর্ষণ করেছিল দেলোয়ার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে 'দেলোয়ার বাহিনী'। এ সময়ের ধারণ করা ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়। তবে এর আগে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে দেলোয়ার। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এতে রাজি না হলে নিজ বাহিনী দিয়ে ধর্ষণের হুমকি দিতেন দেলোয়ার। ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ-তদন্ত) আল আহমুদ ফয়জুল কবির।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অডিটরিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ তথ্য জানান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় মানবাধিকারের উপ-পরিচালক গাজী সালা উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কামরুন নাহার। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বেগমগঞ্জ থানায় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির সদস্যরা নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর সাথে কথা বলেন।
গৃহবধূ তাদের কাছে অভিযোগ করেন, 'গত এক বছর আগে দেলোয়ার তার ঘরে ঢুকে প্রথমে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এসময় দেলোয়ার তার সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে বলেন। তিনি চিৎকারের চেষ্টা করলে দেলোয়ার তাকে হত্যা ও তার দলের লোকজন দিয়ে গণধর্ষণের ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।'
'কিছুদিন পর দেলোয়ার তার সহযোগী কালামকে ওই নারীর বাড়িতে পাঠায় এবং নৌকায় করে একটি বিলে নিয়ে সেখানে দেলোয়ার ও কালাম দুজনই তাকে ধর্ষণ করে।'
মানবাধিকার কমিশন এই সদস্য বলেন, নির্যাতিতার জবানবন্দি অনুযায়ী আজই আমরা প্যানেল আইনজীবীদের মাধ্যমে মামলা করবো।
ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পরই আমরা পেরেছি। তার আগে আমরা বিষয়টি অবগত ছিলাম না। জানার পর থেকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। নয়জন এজাহারভুক্ত আসামির মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে ও সাক্ষ্য-প্রমাণে যদি আরো কারো নাম আসে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।