খ্যাতনামা মডেল সালমা আল-শিমি
মিসরে পিরামিডের সামনে ক্লিওপেট্রার সাজে ছবি তোলায় খ্যাতনামা মডেল সালমা আল-শিমিকে গ্রেপ্তার করেছে মিসরীয় পুলিশ। সেই সঙ্গে ফটোগ্রাফারকেও গ্রেপ্তার করা হয়। অবশ্য পরে তাঁরা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্বসহকারে এ খবর প্রচার করছে। নভেম্বরের শেষেই মিসরের পিরামিডের সামনে এই ছবিগুলো তুলেছিলেন ওই ফটোগ্রাফার।
প্রাচীন মিসরীয়র বেশেই ক্যামেরার সামনে পোজ দেন সালমা। সেই ছবি আপলোড করেন নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে। অল্প সময়েই দাবানলের মতো তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। মিশরীয় প্রশাসনেরও নজরে পড়ে। এর পরই ফ্যাশন ফটোগ্রাফারকে পিরামিডের সম্মানহানির জন্য গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিন কায়রো শহরের বাইরে এক পিরামিডের সামনে খোলামেলা স্বল্প পোশাকে ফটোশুট করছিলেন সালমা-আল-শাইমি । আর এই ছবি প্রকাশ্যে আসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, তার পরেই নেটিজেনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ঘটনা হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই ওই মডেল এবং ফটোগ্রাফারকে গ্রেপ্তার করে মিসরীয় পুলিশ।
তাকে গ্রেপ্তারের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ওই মডেলের ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাদের অনেকের কাছেই ঘটনাটি একেবারে অবিশ্বাস্য । প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় ছবি তোলার বিষয়ে আদৌ কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
অনেকেই আবার বলেছেন, শিমির ছবিগুলো অশ্লীল নয়- এ ধরনের পোশাকই প্রাচীন মিসরে ব্যবহার করা হতো। কাজেই পিরামিডের প্রেক্ষাপটে এই পোশাককে একেবারে স্বাভাবিকই বলা যায়। মিসরে এর আগে এতটা রক্ষণশীলতা দেখা যায়নি বলেই দাবি করেছেন তারা।
একটি ছবিতে দেখা যায়, ছয়জন গর্ভবতীকে নিয়ে হাজির এক ধনকুবের। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সবার বাবাই আমি।’ এ রকম ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের সামনে কিভাবে এমন ছবি তোলা হলো, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা।
এদিকে মডেল সিমি জানিয়েছেন, পিরামিডের সামনে ছবি তোলা নিষেধ ছিল, এটি তিনি জানতেন না। তারা পিরামিডের ঐতিহ্য তুলে ধরতে চেয়েছিলেন, আপত্তিকর ছবি তোলা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না।
কালের কন্ঠ=============