যুক্তরাজ্যে নতুন যে করোনার ধরনের কথা বলা হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রেও ভ্যাকসিন কার্যকর হবে। গবেষকদের বরাতে তুরস্কের ডেইলি সাবাহ এমন খবর দিয়েছে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক জুডেথ ব্রুয়ের বলেন, নতুন ধরনের সঙ্গে তুলনা করে এই ভাইরাসের মধ্যে আলাদা কিছু আমি দেখিনি। জনগণের রোগপ্রতিরোধ সক্ষমতার ক্ষেত্রে এই ভাইরাস আলাদা আচরণ করছে বলে আমাদের কাছে কোনো প্রমাণ নেই।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, ভ্যাকসিনগুলো আগের মতোই কাজ করবে। কাজেই আমরা টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে পারি। আমরা সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। কিন্তু নতুন ধরনের ভাইরাস ভিন্নভাবে আচরণ করছে বলে দেখছি না।
এদিকে করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্ত করার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ বা বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীরা।
যেটির সঙ্গে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে পাওয়া নতুন ধরনের কোভিড-১৯ রোগের সাদৃশ্য রয়েছে। বিবিসি বাংলার খবরে এমন তথ্য মিলেছে।
বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীরা গত মাসে ১৭টি নতুন জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে পাঁচটিতে করোনার নতুন ধরনের এ স্ট্রেইন শনাক্ত করেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান গণমাধ্যমকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন যে একটি স্ট্রেইন পাওয়া গেছে, সেটি আগের স্ট্রেইনটির তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি গতিতে ছড়ায় বলে জানানো হয়েছে।
সেলিম খান বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে করোনার সর্বশেষ যে সিকোয়েন্স করা হয়েছে, তাতে ভাইরাসটির দুটি স্পাইকে প্রোটিন মিউটেশন পাওয়া যায়।
‘যুক্তরাজ্যে শনাক্ত নতুন ভাইরাসটির স্ট্রেইনে যে বৈশিষ্ট্য আছে, তার সঙ্গে বাংলাদেশে পাওয়া ভাইরাসটির পুরোপুরি মিল না থাকলেও অনেকটাই মিল রয়েছে।’
বিসিএসআইআরের এই বিজ্ঞানী আরও বলেন, বাংলাদেশের আগে এমন মিউটেশনের খবর রাশিয়া ও পেরুতে পাওয়া যায়। ওই দেশগুলোতে একটি করে নমুনায় এমন মিউটেশন পাওয়া গিয়েছিল।
কিন্তু বাংলাদেশে মোট ১৭টি নমুনার মধ্যে পাঁচটিতেই এমন মিউটেশন পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার থেকে ওই নমুনাগুলো জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য নিয়েছিলেন তারা।
তবে কাদের কাছ থেকে এই নমুনাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা শনাক্ত করতে নমুনার তথ্য এরই মধ্যে ওই সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিসিএসআইআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
রেফারেন্সঃ যুগান্তর covid-19/377167