ফাইজার ও মডার্নার টিকা করোনার ভারতীয় ধরন ঠেকাতে সক্ষম!!!
মডার্না ও ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা ভারতের উদ্বেগজনক করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে কোভিড-১৯ নিয়ে ব্রিফিংয়ে দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, করোনার বিভিন্ন ধরনের বিরুদ্ধে ছয় মাস পর্যন্ত টিকার ফলে সৃষ্ট অ্যান্টিবডি কার্যকর থাকে। সংক্রমণ ও মারাত্মক অসুস্থতার বিরুদ্ধে কার্যকারিতার উৎসাহজনক তথ্য পাওয়া গেছে।
ফাউসি বলেন, প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, দুই ডোজের যেসব টিকা ইতিমধ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেগুলো ভারতীয় করোনার ধরন ও অন্যান্য ধরনের বিরুদ্ধে আংশিক ও সম্ভাব্য সুরক্ষা দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এটি বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহের অন্য একটি উদাহরণ। এ কারণেই আমাদের টিকা নিতে হবে এমন একটি কারণ নির্দেশ করে।
করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন বি.১.৬১৭.২ অনেক বেশি সংক্রামক বলে একে উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করে যুক্তরাজ্য। সম্প্রতি ধরনটি যুক্তরাষ্ট্রেও শনাক্ত হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতীয় করোনার ধরন যুক্তরাজ্যে প্রভাবশালী স্ট্রেইন হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। করোনার এ ধরন ঠেকাতে দেশটিতে নানা প্রতিরোধমূলক প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে।
কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষায় প্রথম ভ্যাকসিন হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনার টিকা দেয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর দ্বিতীয় ভ্যাকসিন হিসেবে মডার্নার উদ্ভাবিত টিকা জরুরি ব্যবহারের সুপারিশ করেছে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)।
ফাইজার ও মডার্নার তৈরি করোনা টিকার মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে।
ফাইজারকে যুক্তরাষ্ট্রের জায়ান্ট ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হিসেবে ধরা হয়। অন্যদিকে মডার্না যার সংক্ষিপ্ত রূপ আরএনএ। এটি ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের কেমব্রিজভিত্তিক একটি বায়োটেক সংস্থা।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর।