ইরাজ আহমেদ। একাধারে কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, অনুবাদক। জন্ম : ১৯৬৪ সালের ২৫ মার্চ, ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে।১৯৮৩ সালে সাংবাদিকতা দিয়ে পেশা জীবনের শুরু। বর্তমানে লেখালেখিই একমাত্র পেশা। প্রকাশিত গ্রন্থ : ফেলে আসা রুমাল (কাব্যগ্রন্থ), পুড়তে থাকো বিজ্ঞাপনের আগুনে (কাব্যগ্রন্থ), শীতে ভবঘুরে (কাব্যগ্রন্থ), মহাকাব্যের গল্প (কাব্যগ্রন্থ), দরজা খোল আফিমের দোকান (কাব্যগ্রন্থ), অভ্যূত্থান (উপন্যাস), এইসব অন্ধকার (উপন্যাস), নিরাশ্রয় (উপন্যাস), যেখান থেকে আকাশ দেখা যায় না (উপন্যাস), চৈত্রের দিন (উপন্যাস), মহাকালের ঘোড়া (উপন্যাস), বৃত্তের ভেতরে একা (গল্প), কয়েকটি মৃত জোনাকি (গল্প), চে গুয়েভেরার আফ্রিকার ডায়েরি (অনুবাদ)। লেখকের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন অঞ্জন আচার্য।
যে বই বারবার পড়ি
কবিতার বই-ই বারবার পড়া হয়। তবে একটি বই আমি বহুবার পড়েছি। সেটা হলো নিকোলাই অস্ত্রভস্কির উপন্যাস ‘ইস্পাত’।
যে বই পড়ব বলে রেখে দিয়েছি
জ্যাঁ পল সার্ত্রের উপন্যাস ‘নসিয়া’। যদিও বইটি পুরোনো। বেশ জটিলও। তাই ধীরে ধীরে পড়ছি।
যে চলচ্চিত্র দাগ কেটে আছে মনে
সে তো অসংখ্য। এ মুহূর্তে মনে পড়ছে সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’, ‘নায়ক’; মৃণাল সেনের `খন্ডহর', ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’। আরো বললে তালিকা দীর্ঘ হবে।
যে গান গুনগুন করে গাই
লতা মঙ্গেশকরের একটি গান : ‘আজ তবে এইটুকু থাক/ বাকি কথা পরে হবে।’
প্রিয় যে কবিতার পঙ্ক্তি মনে পড়ে মাঝেমধ্যে
জীবনানন্দ দাশের ‘কোথাও চলিয়া যাব একদিন; —তারপর রাত্রির আকাশ অসংখ্য নক্ষত্র নিয়ে ঘুরে যাবে কতকাল জানিব না আমি’।
খ্যাতিমান যে মানুষটি আমার বড় প্রিয়
চে গেভারা।
যে ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না
এমন কোনো ফুলে আমি মুগ্ধ নই।
যা খেতে ভালোবাসি খুব
আমার একটি প্রিয় খাবার আছে। শুনে অনেকে হাসেন। বিস্কুট আমার খুব প্রিয়। প্রতিদিনই আমি নানা রকম বিস্কুট খাই।
যা সহ্য করতে পারি না একেবারেই
বিশ্বাসঘাতকতা।
জীবনে যার কাছে সবচেয়ে বেশি ঋণী
আমার দাদু হাসিনাবানু।
যেমন নারী আমার পছন্দ
সকল নারীই আমার পছন্দ। হা হা হা...।
যেখানে যেতে ইচ্ছে করে
পাহাড়ের কাছে।
যেভাবে সময় কাটাতে সবচেয়ে ভালো লাগে
একা একা।
যে স্বপ্নটি দেখে আসছি দীর্ঘদিন ধরে
একজন ভালো লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখে আসছি বহুকাল ধরে...।
যে কারণে আমি লিখি
আমার অভিজ্ঞতাটুকু অন্যকে বলতে চাই, জানাতে চাই বলে লিখি।
নিজের যে বইটির প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছে
আমার সব বইয়ের প্রতিই দুর্বলতা আছে। তবে কবিতার বইয়ের প্রতি আলাদা টান অনুভব করি।
ভালোবাসা মানে আমার কাছে...
মানুষের কাছে থাকা।
আমার চোখে আমার ভুল
অসংখ্য ভুলে ভরা আমার এ জীবন। তবে এ নিয়ে আমার কোনো অনুতাপ নেই। কোনো কিছুতেই নেই।
জীবনে যা এখনো হয়নি পাওয়া
অনেক কিছুই তো পাওয়া হয়নি। যা হয়নি, তার জন্য কোনো অনুশোচনাও নেই।
যে স্মৃতি এখনো চোখে ভাসে
আমার ছোট ভাইয়ের মৃত্যু, যে স্মৃতি আমাকে আমৃত্যু বয়ে বেড়াতে হবে।
যা হতে চেয়েছিলাম, পারিনি
আমি আঁকিয়ে হতে চেয়েছিলাম, পারিনি।
জীবনের এ-প্রান্তে এসে যতটা সফল মনে হয় নিজেকে
একবিন্দুও নয়।
কোনটা ভালো লাগে—পাহাড়, নাকি সমুদ্র?
পাহাড়। পাহাড় আমাকে খুব টানে।
কোনটা বেশি টানে—বর্ষার বৃষ্টি, নাকি শরতের নীল আকাশ?
বর্ষার বৃষ্টি।