ভিয়েতনামের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের শহর ডানাং। পাহাড়ের এই শহরে গাছপালা আর পাথুরে পাহাড় ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে ‘ঈশ্বরের হাত’। হাত তুলে ধরেছে ধনুকের মতো বাঁকানো সোনালি রঙের সেতু। পুরো বিশ্বের বিস্ময় পাহাড়ের গায়ে তৈরি এ সেতু ৪৯০ ফুট দীর্ঘ। সেতুর ওপর দিয়ে হাঁটছেন পর্যটনবিলাসী মানুষ। ৯৯ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করে ফ্রান্সের একটি সংস্থা। পাহাড়ের স্টেশন হিসেবে জায়গাটিকে গড়ে তোলা হয়েছিল।
পর্যটকদের পাহাড়-প্রকৃতির একমাত্র মেলবন্ধনের এ সেতুটি মাত্র দুই মাসেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।১৯১৯ সালে ভিয়েতনাম শাসনকারী ফরাসিদের হাতে সেতু প্রথম নির্মিত হয়েছিল। নতুন করে চলতি বছরের জুনে এর উদ্বোধন করা হয়। স্বর্ণের মতো রং। তাই এর নাম ‘গোল্ডেন ব্রিজ’।ভিয়েতনামের ডানাং শহরের এ সেতুটি পর্যটকদের বড় আকর্ষণের স্থান। এখানে রয়েছে পাহাড়ের ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য কেবল কার, অসংখ্য প্রাসাদ আর ক্যাথেড্রাল-সমৃদ্ধ মধ্যযুগের ফরাসি অধ্যুষিত গ্রামের রেপ্লিকা। আছে পরিপাটি করে সাজানো সব বাগান।গত বছর ১ কোটি ৩০ লাখ বিদেশি পর্যটক এসেছিল সেতুটি দেখতে।বিস্ময়কর স্থাপত্যশৈলীর কারণে সেতু থেকেই ডানাং শহরের আগাগোড়া দেখা যায় অনায়াসে।পুরো বিশ্বের মানুষ বর্তমান ভিয়েতনামের জনক হো চি মিনের দেশের এ কাজের প্রশংসা করছেন।বিশ্বের নানান দেশ থেকে পর্যটকেরা সেতু দেখতে ঢুঁ মারছেন ভিয়েতনামে। বেশির ভাগই চীনের পর্যটক ছিলেন।গোল্ডেন ব্রিজের পর ভিয়েতনামে শুরু হয়েছে রুপালি সেতুর কাজ। এই সেতুর নকশাকার আনহ জানান, ইতিমধ্যেই রুপালি সেতুর কাজও শুরু হয়ে গেছে। হ্যান্ড অব গডের পর এবার হেয়ার অব গড। হাতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তৈরি হবে চুল এবং তার মধ্য দিয়ে হবে রুপালি সেতু।