যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে। জবাবে জয়ের একেবারেই কাছে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস থেমে যায় ১৫৯ রানে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তারা মাত্র ২ রান করতে সক্ষম হয় সে ওভারে। তাই ম্যাচেও হেরে বসে।
ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও রভম্যান পাওয়েল দুজনেই ৪৩ রানের দারুণ দুটি ইনিংস খেলেও পারেননি দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে।
পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু দুজনেই দারুণ বল করে দলকে জয় এনে দিতে রাখনে মূল্যবান অবদান। দুজনেই পান তিনটি করে উইকেট। এ ছাড়া সাকিব আল হাসান দুটি ও রুবেল হোসেন পান একটি উইকেট।
এর আগে ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। ওপেনার লিটন দাস (১) ইনিংসের ৭ রানের মাথায় আউট হয়ে যান। ওয়ানডাউনে নামা মুশফিকুর রহিমও দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান দলীয় ২৪ রানের মাথায় মাত্র ৪ রান করে।
তবে ব্যতিক্রম ছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দুজনে দারুণ দুটি ইনিংস খেলে দলকে এই চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে দেন।
বিশেষ করে সাকিব-তামিম দারুণ একটি জুটি গড়ে শুধু দলের বিপর্যয় সামলাননি, এই ইনিংস গড়ে দিতে রাখেন মূল্যবান অবাদন। চতুর্থ উইকেটে ৯০ রানের অসাধারণ একটি জুটি গড়েন তাঁরা। যার ওপর নির্ভর করে দলের এই দারুণ সংগ্রহ।
বিশেষ করে তামিম ইকবাল দারুণ একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন। মাত্র ৪৪ বলে ৭৪ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ওপেনার, যাতে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কার মার রয়েছে।
তাঁকে সাপোর্ট দিয়ে সাকিবও একটি চমৎকার ইনিংস খেলেন। ৩৮ বলে অপারাজিত ৬০ রান করেন। নয়টি চার ও একটি ছক্কার মার দিয়ে ইনিংসটাকে সাজিয়েছেন তিনি।
এদিনও ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য সরকার, ১৮ বলে ১৪ রান করেন তিনি। আর মাহমুদউল্লাহ শেষ দিকে ১০ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।