চতুর্থবারও বিশ্বকাপ মঞ্চ থেকে খালি হাতে ফিরেছেন ফুটবল জাদুকর। সেই অর্থে রাশিয়ার কোনও মাঠেই খুঁছে পাওয়া যায়নি এই আর্জেন্টাইন তারকাকে। দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিশ্বকাপ সফর দাঁড়ি পড়েছে।
রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে থেকেই জল্পনা ছিল এটাই হয়ত শেষ বিশ্বকাপ আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডের। কিন্তু বিশ্বকাপের পরও ফুটবল বিশ্বকে খানিকটা অবাক করে অবসর নিয়ে কোন কথা বলেননি ৩১ বছরের তারকা ফুটবলার। তবে মেসি যাই ভাবুন না কেন তাকে তার যোগ্য সম্মান দেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল।এমনটাই জানালেন নীল সাদা দলের নবনিযুক্ত কোচ স্ক্যালোনি।
সম্প্রতি আর্জেন্টিনার অন্তবর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন আইমার এবং স্ক্যালোনি। এদের কোচিংয়েই আগামী মাসে কলম্বিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে দু'বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আগামী ১৯ অগাস্টের মধ্যে দলের খেলোয়াড়দের তালিকা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।
প্রীতি ম্যাচের দল ঘোষণা ও মেসি প্রসঙ্গে স্ক্যালোনি বলেন, দলের তালিকা এখনও তৈরি নয়। প্রথমিক দলও তৈরি হয়নি। এখনই মেসিকে নিয়ে ভাবার সময় আসেনি। ওকে আমরা এখনই ডাকছি না।
এরপরই নবনিযুক্ত আর্জেন্টাইন কোচ বলেন, দল গঠনের সময় দেখবো কী করা যায়। আমি মেসিকে ভালোভাবে জানি এবং তার সঙ্গে কথা বলা নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই। আমরা তার যাগ্য মূল্যায়ন করতে চাই। যাতে মেসির এটা মনে হয় আর্জেন্টিনা দলে তার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা ওকে সম্মান করি।
পাঁচবার ব্যালন ডি'অর থেকে গোল্ডেন বুট, গোল্ডেন বল। বিশ্ব ফুটবলের প্রায় সমস্ত সেরা পুরস্কারগুলো রয়েছে মেসির ঝুলিতে। নিজের ১৩ বছরের ফুটবল কেরিয়ারে বিশ্বফুটবলের একাধিক রেকর্ড ভেঙ্গেছেন। গড়েছেনও প্রচুর নতুন রেকর্ড। মারাডোনা থেকে পেলের মত কিংবদন্তি ফুটবলাররা স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের সেরাদের একজন মেসি।
এরকম একজন ফুটবলারের আর কি পাওয়ার থাকতে পারে ফুটবল থেকে? কেন এই রকম আবেগ নিয়ে বিশ্বকাপের আসরে নামা। আর্জেন্টিনার হারের দিন কান্নায় ভেঙে পড়া। উত্তরটা অনেকেরই জানা, মেসির ঝুলিতে একটিও বিশ্বকাপ নেই। এরকম এক প্রতিভাবান প্লেয়ার দলকে বিশ্বকাপ দিতে পারেননি। এই জ্বালাই তাড়া করে বেড়ায় লিওকে। যে কারণেই ২০১৪ বিশ্বকাপে ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের পর হতাশ হয়ে অবসর ঘোষণা করেছিলেন ফুটবল থেকে।
বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের অনুরোধে অবসর ভেঙে ফুটবলে ফেরেন মেসি। ৩১ বছরে পা রেখেও যে তিনি এখনও আর্জেন্টাইন দলে অপরিহার্য সেটা স্ক্যালোনির কথা থেকেই বোঝা যায়।
অন্যদিকে বেশিরভাগ মেসি ফ্যানদের মনে ভয় রয়েছে যে গত ২৪ জুন পা রেখেছেন মেসি। স্বাভাবিকবাবেই বলা যায় আরও চারটা বছর অপেক্ষা করে বিশ্বকাপ খেলাটা খুব একটা সহজ নয়। তাই মেসি যদি এখানেই ইতি টানেন তার ফুটবল ক্যারিয়ারের তাহলে সেটা ভয়ঙ্কর দুঃখের হলেও অসম্ভব কিছু হবে না।