পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে রান করেছেন যথাক্রমে ২৩ ও ৪৬। ব্যাট হাতে যেন তৃপ্ত হতে পারছিলেন না ‘বিশেষজ্ঞ টেস্ট ব্যাটসম্যান’ হিসেবে তকমা পাওয়া মুমিনুল হক। তৃপ্তি এসেছে চতুর্থ ম্যাচে, হেসেছে মুমিনুলের ব্যাট। শুধু হেসে ক্ষান্ত হয়নি, ঝড় বইয়ে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বোলারদের ওপর। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ভর করে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে রান পাহাড়ে।
মুমিনিলের ঝড়ো ব্যাটিং এবং জাকির হাসান ও মোহাম্মদ মিথুনের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৩৮৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। কিন্তু শুরুর ধারাবাহিকতা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি দলের বাকি ব্যাটসম্যান। না হলে আরও বড় সংগ্রহ পেতে পারতো বাংলাদেশ।
৮ আগস্ট, বুধবার আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে চতুর্থ আনঅফিসিয়াল ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মুমিনুলের দল। দলীয় ৬ রানেই বিদায় নেন ওপেনার মিজানুর রহমান। কিন্তু শুরুর ধাক্কাটা দলের গায়েও লাগতে দেননি অধিনায়ক মুমিনুল। দ্বিতীয় উইকেটে জাকির হাসানকে নিয়ে গড়েন ২১০ রানে জুটি।
জুটি গড়ার পথে জাকির তুলে নেন লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ১২তম হাফ সেঞ্চুরি। ৯৩ বলে ৭ চার ও ২ ছয় ৭৯ রান করে থামেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। জাকির ৭৯ রান করে বিদায় নিলেও সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয়নি মুমিনুলকে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান তুলে নেন লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। মাত্র ৮১ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর নিজের ইনিংসটিকে আরও বড় করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এগোচ্ছিলেন লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির পথেও। কিন্তু কপাল পুড়ল রান আউটের ফাঁদে পড়ে। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৮ রান দূরে থাকতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে ১৩৩ বলে ২৭ চার ও ৩ ছয়ে করেছেন ১৮২ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের এটাই তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
৩৩ রানের ব্যবধানে বিদায় নেন আল আমিন জুনিয়র। তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। মোহাম্মদ মিথুন অপরাজিত থাকেন ৮১ রানে। ৫১ বলে ১৪ চার ও ২ ছয়ে ৮১ রান আসে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে। এই রান করার পথে তৃতীয় উইকেটে মুমিনুলের সঙ্গে ১১২ রানের জুটি গড়েন তিনি। এ ছাড়া আফিফ হোসেন ধ্রুব অপরাজিত ছিলেন ২ রানে।