যেন ভূমিতেই বিছানো হয়েছে সুন্দরের গালিচা, মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন স্পটটি বান্দরবন শহরের প্রবেশদ্বার বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের পাশে অবস্থিত। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট এই মেঘলা।
মেঘলায় চিত্তবিনোদনের বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে রয়েছে- চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক, সাফারি পার্ক, প্যাডেল বোট, ক্যাবল কার, উন্মুক্ত মঞ্চ ও চা বাগান। এখানে সবুজ প্রকৃতি, লেকের স্বচ্ছ পানি আর পাহাড়ের চূঁড়ায় চড়ে দেখতে পাবেন ঢেউ খেলানো বান্দরবানের নয়নাভিরাম দৃশ্য। মেঘলা পর্যটন স্পটের পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বান্দরবান পর্যটন হোটেলটি।
এখানে শুধু দিনের বেলা নয় রাতের বেলা রাত্রি যাপনের জন্যও রয়েছে অনেক সুযোগ-সুবিধা। এখানে জেলা প্রশাসনের রেস্ট হাউজটি দৈনিক ভিত্তিতে ভাড়া পাওয়া যায়। মেঘলা রেস্ট হাউজে রাত্রি যাপনের জন্য মোট চারটি কক্ষ রয়েছে। প্রতিদিনের জন্য একেকটি কক্ষের ভাড়া পড়বে ২০০০ টাকা।
বান্দরবানের মেঘলাতে পর্যটন করপোরেশনের একটি হোটেল আছে। এখানে যে কেউ থাকতে পারবেন। যে কেউ বুকিংয়ের জন্য ফোন করতে পারেন- ০৩৬১-৬২৭৪১ ও ০৩৬১-৬২৭৪২ নম্বরে। হোটেল ফোর স্টারে থাকতে গেলে সিঙ্গেল ভাড়া পড়বে ৩০০ টাকা, ডাবল ভাড়া ৬০০ টাকা, এসি ১২০০ টাকা। আর হোটেল থ্রি স্টারে নন-এসি ফ্ল্যাট ২৫০০ টাকা, এসি ফ্ল্যাট ৩০০০ টাকা। হোটেল প্লাজা বান্দরবানে সিঙ্গেল ভাড়া ৪০০ টাকা, ডাবল ৮৫০ টাকা ও এসি ১২০০ টাকা ভাড়া পড়বে।
যে কেউ ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবান যেতে পারেন ইউনিক, এস আলমসহ বেশ কয়েকটি বাসে। আর ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর সোজা বান্দরবানে যেতে পারেন। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে পূরবী ও পূর্বাণী নামক দু’টি ডাইরেক্ট নন-এসি বাস ৩০ মিনিটি পরপর বান্দরবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বান্দরবান শহর থেকে চাঁদের গাড়ি কিংবা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা করে যাওয়া যায় মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে।