নোয়াখালীতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও (সদর-সুবর্ণচর ) আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর উদ্যোগে প্রতিবছরের মতো এবারও চার লক্ষাধিক লোকের ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
জেলার চারটি উপজেলার দুই শতাধিক স্থানে এই গরু জবাই করা হবে। গত কয়েকদিন থেকে একরামুল করিম চৌধুরী প্রতিটি ইউনিয়ন ও উপজেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে ১৫ই আগস্ট শোক দিবস সুন্দরভাবে পালন করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি ও সভা সমাবেশ করেছেন।
সোমবার সকাল থেকে এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মাঠে সদর, সুবর্ণচর, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নেতাকর্মীদের কাছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ও পৌরসভার ভোজের জন্য ২০৭টি গরু বিতরণ করেন। এ দিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভোজের জন্য ১৫টি মন্দিরের প্রতিনিধিদের কাছে নগদ ১৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করেন।
নেয়াজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এইচএম বাহাদুর জানান, আমরা ১৫ আগষ্ট উপলক্ষে এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর মাধ্যমে এলাকার মানুষের জন্য গরু পেয়ে খুবই আনন্দিত। এতে দলীয় নেতা কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ছে এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর প্রতি।
সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ওমর ফারুক জানান, বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর এ ব্যতিক্রম আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। দেশের কোথাও এত বড় আয়োজন করা হয়না। এবারও গরীব ও দুঃস্থসহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য ভোজ, মসজিদে মসিজদে মিলাদ মাহফিল, দোয়া করা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহমুদুর রহমান জাবেদ জানান, বিগত বছরের ন্যায় এবারও ব্যতিক্রম আয়োজন করেছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী। এ আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে ।
এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধু এ দেশে স্বাধীনতা এনেছেন। যার কারণে আমি সাধারণ ঘরে জন্ম নিয়েও জনগনের ভোটে আজ এমপি নির্বাচিত হয়েছি। দেশ স্বাধীন না হলে কিছুই হতামনা তাই তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমি এই আয়োজন করেছি। তবে এবার আমার নির্বাচনী এলাকা ছাড়াও আরো ২টি উপজেলা সংযোজিত করেছি।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো: ইলিয়াছ শরীফ জানান, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের জন্য সাদা পোশাকধারী পুলিশসহ সব ধরনের প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে।