আইরিশ 'এ' দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে রাজকীয় জয় তুল নিয়েছে বাংলাদেশ 'এ' দল।
তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ও সিরিজ নির্ধারণী টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মোহাম্মদ মিঠুনের ঝড়ো ৩৯ বলের ৮০ রানের ইনিংসের সাথে সৌম্য সরকারের তাণ্ডব ছড়ানো ৪৭ রানের ইনিংসে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড উলভসের দেওয়া রান পাহাড় টপকে ৬ উইকেটের জয়ে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নেয় সফরকারী বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
উদ্বোধনী জুটিতে ১১৭ রান যোগ করেন সৌম্য-মিঠুন। অর্ধশতক পেরিয়ে ব্যাটে ঝড় তুলে আরও ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করেন মিঠুন। বিপরীতে ছন্দের সাথে ঝড়ো গতিতে ব্যাট করতে থাকেন সৌম্যও। তবে বিপত্তি ঘটে অর্ধশতক থেকে ৩ রান দূরে থাকতে গেটকাট’কে উড়িয়ে মারতে গেলে। পোর্টারফিল্ডের হাতে তালুবন্দী হলে সমাপ্ত হয় তার ২ চার ও ৪ ছয়ে করা ৩০ বলের ৪৭ রানের ইনিংসের।
এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি নাজমুল হাসান শান্ত। ৪ বলে ৬ রান করে লিটলের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর ছন্দপতন ঘটে মোহাম্মদ মিঠুনেরও। এবারও বাধা হয়ে সফরকারীদের ইনিংসে বিপত্তি ঘটান গেটকাট। ৩৯ বলের দূর্দান্ত ৮০ রানের ইনিংস খেলে আউট হলে ১৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সফরকারীরা।
৭ চার ও ৬ ছক্কায় মিঠুনের এমন বিধ্বংসী ইনিংস থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে এরপর লড়াই চালিয়ে চান জাকির ও আল-আমিন। জাকির ১৩ রানের ইনিংস খেলে দলীয় ১৬২ রানে গেটকাটের ফাঁদে পা দিলে মুমিনুলকে সাথে নিয়ে দলকে জেতানোর বাকি কাজটুকু সাড়েন আল-আমিন। শেষ পর্যন্ত আল-আমিন ১৩ বলে ২১ রানে ও মুমিনুল ৬ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আইরিশ বোলারদের মধ্যে ৩৬ রান খরচায় গেটকাট তিনটি ও ৩ ওভার বল করে ৪০ রান দিয়ে একটি উইকেট লাভ করেন লিটল।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন সাইফউদ্দিন। নিজের কোটার ৪ ওভার থেকে ২৮ রান নিয়ে তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের সর্বোচ্চ চারটি উইকেট। বাকি বোলারদের মধ্যে শরিফুল নিজের ঝুলিতে জমা করেন একটি উইকেট।