যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সৌদি আরবে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আযহা।
সুর্যোদয়ের ১৫মিনিট পরেই ঈদের জামায়াত হওয়ায় গভীর রাত থেকেই রাস্তায় ঢল নামে মসজিদ মুখি মুসল্লিদের। ফজরের নামাজের আগেই মক্কা হারাম শরীফ, মদীনা মসজিদে নববীর ভেতর-বাহির পরিপূর্ণ হয়ে জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়।
সৌদি আরবের জাতীয় মসজিদ রিয়াদের ধীরা মসজিদে স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ৪৫, মক্কার হারাম শরীফ সকাল ৬টা ২৫ এবং মদিনার মসজিদে নবাবী ৬টা ১৫মিনিটে ঈদের জামায়াত বৃহৎ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। পুরুষ এবং মহিলাদের নামাজ আদায়ের ছিলো আলাদা ব্যবস্থা।
মদীনা মসজিদে নববীতে ড. সালাহ আল বুদায়ের, মক্কা হারাম শরীফে ড. ফায়সাল আল গাযাভী এবং রিয়াদে ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ ঈদের নামাজ পড়ান এবং খুৎবা দেন।
ঈদ জামায়াতকে কেন্দ্র করে নেয়া হয় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিয়মিত সদস্যদের সাথে যুক্ত করা হয় আইনশৃংখলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রদেশের বড় বড় মসজিদ এবং ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের জামাত।
ফজরের পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও দলবেঁধে ঈদের নামাজে অংশনেন। নামাজ শেষে রেওয়াজ অনুযায়ী একে অন্যের সাথে বুকে বুক মিলিয়ে ঈদের শুভেচ্ছে বিনিময় করেন।
ঈদ উপলক্ষে সৌদি আরবের প্রধান প্রধান সড়কগুলো নানারকম ব্যানার, ফেস্টুন ও নিওন আলোয় করা হয়েছে সুসজ্জিত। এ উপলক্ষে সৌদি আরবের শহরগুলোতে ঈদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।