কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। লাখো মুসল্লি এ ঈদগাহে নামাজ আদায় করেছেন। সকাল ৯টায় ঈদের জামাত শুরু হয়। শোলাকিয়া ঈদগাহের রেওয়াজ অনুযায়ী শটগানের গুলি ফুটিয়ে ঈদের জামাত শুরু করা হয়।
ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পুলিশ, এপিবিএন ও র্যাবের পাশাপাশি ছিল দুই প্লাটুন বিজিবি। প্রত্যেক মুসল্লিকে তল্লাসির মধ্য দিয়ে মাঠে প্রবেশ করানো হয়। নিবিড়ভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য সিসি ক্যামেরা ছাড়াও দু'টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
এবারের ১৯১তম ঈদুল আজহার জামাতে ইমামতি করেন শহরের মারকায মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান খান।
সাধারণত ঈদ জামাতের পর কোরবানির তাগাদার কারণে এ ঈদগাহে ঈদুল আজহায় মুসল্লির সংখ্যা ঈদুল ফিতরের তুলনায় কম হয়ে থাকে। এরপরও লাখো মুসল্লি এবার নামাজ আদায় করেছেন বলে আয়োজকরা মনে করছেন। জামাত শেষে মোনাজাতে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতাসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়।
জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসউদসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এ ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দু'জন পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় এক গৃহবধূ নিহত হন। এ ঘটনার পর থেকেই শোলাকিয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।