আগে জিম্বাবুয়ে-ইন্দোনেশিয়ার বেলায় এমন গল্প শোনা গেছে। লোকে বস্তাভর্তি নোট নিয়ে বাজারে গিয়ে ব্যাগভর্তি বাজার নিয়ে ফিরতেন। এবার ভেনেজুয়েলার বেলায়ও তাই ঘটছে। সেখানেও খাদ্য ও পণ্যসামগ্রী কিনতে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। প্রায় আড়াই কেজি ওজনের একটি মুরগির দাম ১ কোটি ৪৬ লাখ বলিভার।
রয়টার্স ও গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার মুদ্রাস্ফীতি কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। বস্তাভর্তি নোট নিয়ে মানুষ বাজারে গেলেও সেই নোটে কিছুই কিনতে পারছেন না। এক কেজি চালের দাম পঁচিশ লাখ বলিভার। আর এক কেজি টমেটোর দাম পাঁচ লাখ। আর কেজিখানেক মাংসের জন্য গুনতে হচ্ছে ৯৫ লাখ বলিভার।ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো লাগামহীন মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নতুন কিছু নোট বাজারে ছেড়েছেন। বলিভার এখন কার্যত মূল্যহীন কাগজে পরিণত হয়েছে। তীব্র অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। আইএমএফের হিসাবে এ বছর ভেনেজুয়েলার মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়াবে ১০ লাখ শতাংশে। মুদ্রাস্ফীতির ব্যাপকতা বোঝা যায় নিত্যদিনের গৃহস্থালি সামগ্রী, পণ্য ও খাবার কিনতে গেলেই।একটি টয়লেট পেপার কিনতে ভেনেজুয়েলাবাসীকে ব্যয় করতে হয়েছে ২৬ লাখ বলিভার। ১ কেজি গাজর মিলেছে ৩০ লাখ বলিভারে। সমপরিমাণ টমেটোর দাম ৫ লাখ বলিভার। চালের দাম এখন গিয়ে পৌঁছেছে ২৫ লাখ বলিভারে। বাচ্চাদের ডায়াপারের দাম ৮০ লাখ বলিভার। ১ কেজি মাংসের দাম ৯৫ লাখ বলিভার। ২ দশমিক ৪ কেজি ওজনের একটি মুরগির দাম ভেনেজুয়েলার মুদ্রায় ১ কোটি ৪৬ লাখ বলিভার (২ দশমিক ২২ মার্কিন ডলার)।মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৮২ হাজার ৭০০ শতাংশ। ভেনেজুয়েলার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মারাকাইবোতে এলিসিয়া রামিরেজ নামের ৩৮ বছরের এক নারী সবজি কিনতে বাজারে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন রয়টার্সের প্রতিবেদক। তিনি বলেন, ‘সবজি কিনতে এসেছিলাম কিন্তু ফিরে যাচ্ছি। কারণ আমি লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে চাই না। লোকজন যেন উন্মাদ হয়ে গেছে। ভেনেজুয়েলায় এখন এক প্যাকেট স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম ৩৫ লাখ বলিভার।’