সুন্দর ঝলমলে চুল কার না পছন্দ; কিন্তু চুল সুন্দর রাখা খুব সহজ কথা নয়। এর জন্য প্রয়োজন হয় সঠিক যত্নের। বিশেষ করে বর্ষার এই ভেজা আবহাওয়ায় চুল সুন্দর রাখার জন্য লক্ষ রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়।
- বর্ষার এই সময়ে রোদ, বৃষ্টি বিভিন্ন কারণে চুল অনেক সময় ভেজা থাকে। এ ছাড়া রোদ, ধুলা, দূষণ- এসবও চুলের বেশ ক্ষতি করে থাকে। তাই ভেজা চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। কারণ, দীর্ঘক্ষণ ভেজা থাকলে চুলে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ভয় থাকে।
- এ ছাড়া ভেজা চুল সহজেই ভেঙে যায়। ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া নরম থাকে, তাই চুল সহজেই উঠে আসে। শ্যাম্পু করার সময়ও চুল বেশি টানাটানি করা ঠিক নয়। ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়াবেন না। শুকিয়ে যাওয়ার পর আঁচড়ে নিন।
- শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার চুলে ময়েশ্চার জোগায়। ফলে চুল রুগ্ন হওয়া থেকে রক্ষা পায়। তবে কন্ডিশনার কখনো চুলের গোড়ায় লাগাবেন না, বরং এক ইঞ্চি ওপর থেকে লাগান।
- চুলের জন্য একই ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কারণ, একই ব্র্যান্ড হলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকে। তাই এগুলো ভালো কাজ করে থাকে।
- প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই দিন চুলে হালকা গরম তেল ব্যবহার করুন। এতে স্কাল্পে রক্ত চলাচল বাড়বে আর চুল হবে মজবুত। সকালে হালকা কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সময় থাকলে হট ওয়াটার ট্রিটমেন্টও নিতে পারেন। চুলের জন্য এ পদ্ধতি খুবই কার্যকর।
কয়েকটি হেয়ারপ্যাক
এ সময় চুলে হেয়ারপ্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে চুলের ধরন বুঝে হেয়ারপ্যাক ব্যবহার করা উচিত।
- মধু, নারকেল তেল ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে হেয়ারপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
- হেনা, আমলকী, শিকাকাই পাউডার, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন এবং চুলে ব্যবহার করুন।
- শুষ্ক চুলে অলিভঅয়েল, পাকা পেঁপের পিউরি ও মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
- তৈলাক্ত চুলের জন্য ডিম, মুলতানি মাটি, আমলা, রিঠা ও শিকাকাই পাউডার একসাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন।
- কোনো প্যাক চুলে বেশি শুকাতে দেবেন না। ৪০ থেকে ৫০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।