মুসলিমদের কাছে অন্যতম আনন্দের দিন ঈদুল আজহা। কিন্তু এ বছরের ঈদুল আজহা ভারতের কেরালার মানুষদের জন্য আনন্দ বয়ে আনতে পারেনি। কারণ সারা রাজ্য বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও হারিয়েছেন তারা। পুরো বিশ্ব যখন ঈদ উদযাপন করছে তখন কেরালার মানুষ নিরাপদ আশ্রয় খোঁজায় ব্যস্ত।
শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সাক্ষী হয়েছে কেরালার মানুষ। এর আগে তারা এমন ভয়াবহ বন্যা আর দেখেনি। সেখানে ঈদ উদযাপনের মতো পরিস্থিতিও ছিল না। উদযাপন তো দূরের কথা, কেরালার হাজার হাজার মানুষের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করাটাও কঠিন হয়ে পড়েছিল। কারণ সেখানকার বহু মসজিদ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সম্প্রীতি আর ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেয় ত্রিসূর জেলার একটি মন্দির। তারা মুসলিমদের নামাজ আদায়ের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দিয়েছেন।
ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে পুরাপ্পিলিকাভু রক্তেশ্বরী মন্দির কর্তৃপক্ষ। মালায় অবস্থিত ওই মন্দিরের একটি হলে মুসলিমদের ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আশপাশের প্রায় সব মসজিদই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মন্দিরে নামাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে মুসলিম ভাইয়েরা। মন্দিরের এক কর্মকর্তা বলেন, সবার প্রথমে আমরা মানুষ। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমাদের অবশ্যই এটা মনে রাখতে হবে যে, আমরা সবাই এক ঈশ্বরের সন্তান। আগামী দিনগুলোতেও এমনটা দেখতে চাই আমি, যেখানে মানুষের প্রয়োজনে আমরা সবাই একত্রে কাজ করতে পারব এবং মানুষকে সহায়তা করতে পারব।