বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘আনন্দ টিভি’র পাবনা প্রতিনিধি সুবর্না নদীকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত পৌনে এগারোটার দিকে পাবনা শহরের রাধানগর মজুমদারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পাবনা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পাবনা পৌর সদরের রাধানগর মহল্লায় আলীয়া মাদ্রাসার পশ্চিম পাশের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন তিনি। বাসার কলিংবেল টিপে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাকে ডেকে বের করে। সুবর্না নদী গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে তাকে অতর্কিতভাবে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
তিনি আরও বলেন, পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। এ ঘটনায় পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকরে মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক কাজী বাবলা বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা আমাদের জানিয়েছেন, ১০/১২ জন সন্ত্রাসী কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে এসে তাকে কুপিয়ে তারা দ্রুত বেগে চলে যায়। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি আওয়াল কবির জয় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন। পাবনায় কর্মরত তরুন সংবাদকর্মী পার্থ হাসান এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, অবশ্যই যারা সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে তাদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানাই।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শামিমা আকতারসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা। এ সময় পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, তাৎক্ষনিক ভাবে সুবর্না নদী হত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে আমাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছেন প্রকৃত ঘটনা উদ্ধারের জন্যে।
উল্লেখ্য, সুবর্না নদী আনন্দ টিভির পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে একটি অনলাইন পত্রিকা দৈনিক জাগ্রত বাংলা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার ৯ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি পাবনার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকের ছেলে রাজিবের সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়। এর আগেও তার বিয়ে হয়েছিল। তবে সেই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকের ছেলের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়াকে কেন্দ্র করে আদালতে একটি মামলাও চলছে বলে স্থানীয়রা জানান।