‘আমরা তিনজনই রাজা/ আমরা তিনজনই রাজা/ আমাদের এই রাজার রাজত্বে!’ তিন রাজা নিজেদের রাজত্বে অন্য কাউকে যেন প্রবেশের সুযোগই দিচ্ছেন না। মাঝে চোটের কারণে বাইরে থাকলেও আবারও স্বমহিমায় ফেরত এসেছেন টেনিসের তিন রাজা: রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জোকোভিচ। ফেদেরার-নাদাল আগেই ফিরেছিলেন। এবার ফেদেরারকে হারিয়ে ক্যারিয়ার গোল্ডেন মাস্টার্স অর্জন করলেন নোভাক জোকোভিচ।যুক্তরাষ্ট্রে সিনসিনাটি মাস্টার্সের ফাইনালে ফেদেরারের মুখোমুখি হয়েছিলেন জোকোভিচ। দুজনের সামনেই উন্মুক্ত রেকর্ড হাতছানি দিয়ে ডাকছিল। রজার ফেদেরারের সামনে ছিল নিজের শিরোপাসংখ্যা ৯৮ ছাড়িয়ে ৯৯-তে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ, আর জোকোভিচের সামনে প্রথম টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ার গোল্ডেন মাস্টার্স জয়ের সুযোগ। জোকোভিচ জিতেছেন ৬-৪, ৬-৪ গেমে।
টেনিসের পুরুষ এককে চারটি বড় টুর্নামেন্ট আছে, যাদের বলা হয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম। এর পরের ধাপে আছে নয়টি শিরোপা। যাদের বলা হয় এটিপি মাস্টার্স। ইন্ডিয়ান ওয়েলস, মায়ামি মাস্টার্স, মন্টে-কার্লো মাস্টার্স, মাদ্রিদ ওপেন, ইতালিয়ান ওপেন, কানাডিয়ান ওপেন, সিনসিনাটি মাস্টার্স, সাংহাই মাস্টার্স ও প্যারিস মাস্টার্স। এই ৯ শিরোপাকে একসঙ্গে বলা হয় ক্যারিয়ার গোল্ডেন মাস্টার্স। চারটি গ্র্যান্ড স্লাম তো জিতেছেনই, এবার ৯টি এটিপি মাস্টার্সেরও সব কটি ট্রফি জেতা হয়ে গেল জোকোভিচের। এই কীর্তি আর কারও নেই!
বাকি আটটি এটিপি মাস্টার্স জেতা হয়ে গেলেও এই একটি ট্রফি কিছুতেই যেন ধরা দিচ্ছিল না জোকোভিচকে। এর আগে পাঁচবার সিনসিনাটি ওপেনের ফাইনাল খেলেও হেরেছেন! তিনবার হেরেছেন কেবল ফেদেরারের কাছেই। এবারও তাই ভয় ছিল। তবে ভয় আর ফেদেরার দুটিকেই জয় করলেন জোকোভিচ। তাতেই হয়ে গেল ইতিহাস।
বাকি দুই রাজার চেয়ে অনেক অর্জনে পিছিয়ে আছেন, কিন্তু এখানে তো এগিয়ে গেলেন। বাকি দুজনের এই কীর্তি ছোঁয়া হবে কি না, তাও বলা কঠিন। ক্যারিয়ার গোল্ডেন মাস্টার্স পূরণ করতে ফেদেরারের বাকি দুটি মাস্টার্স ট্রফি (মন্টে-কার্লো ও ইতালিয়ান ওপেন)। নাদালের তিনটি (মায়ামি মাস্টার্স, সাংহাই মাস্টার্স আর প্যারিস মাস্টার্স)।