শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপে উড়ন্ত শুরুই করেছিল বাংলাদেশ। তারপর সূচি পরিবর্তনের অনাহুত আলোচনায় যেন ফোকাস নড়ে গেল বাংলাদেশ দলের। পরপর দুই দিন ম্যাচ খেলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাবতে গিয়ে মাঠের ক্রিকেটে দিক হারিয়ে বসল টাইগাররা। এসব ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে উঠতে এখন চাপের বৈতরণীতে দুলছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। টানা দুই ম্যাচ হেরে আত্মবিশ্বাস এখন তলানীতে।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তথা চাপেই নাকি সেরাটা বের হয়ে আসে বাংলাদেশ দলের। হারের বৃত্ত ভাঙার মিশনে আজ মাঠে নামবে মাশরাফি বাহিনী। যা একই সঙ্গে টুর্নামেন্টে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার উপলক্ষও। সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে বাংলাদেশ। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
গত বৃহস্পতিবার এই মাঠেই আফগানদের কাছে বাজেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। আফগানদের ২৫৫ রানের জবাবে মাত্র ১১৯ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। আজ সেই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই লড়তে হবে নিজেদের সর্বস্বটা নিংড়ে দিয়ে। দুই আফগান স্পিনার রশিদ খান, মুজিব উর রহমানের বাধার দেয়ালও ভাঙতে হবে। সাকিব-মুশফিকদের খেলতে হবে সেরাটা।
সাকিব আল হাসান বলছেন, আজকের কাজটা কঠিন তবে অসম্ভব নয়। কারণ অতীতে এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর নজির আছে বাংলাদেশ দলের। প্রতিপক্ষ নিয়ে না ভেবে নিজেদের খেলার দিকেই মনোযোগ দিতে চান তিনি।চাপের মাঝে সেরাটা খেলার প্রেরণার উত্স জানতে চাইলে গতকাল টিম হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘যেহেতু এর আগেও আমরা এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি এবং কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের মধ্যে সেই সামর্থ্য আছে। চেষ্টা করতে হবে যেন আমরা স্বাভাবিক যে ক্রিকেট খেলে অভ্যস্ত সেটা খেলতে পারি। যদিও কাজটা কঠিন এমন অবস্থান থেকে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলা। আমার কাছে মনে হয় না হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই আমরা।’
আজও বাংলাদেশের একাদশে আসতে পারে পরিবর্তন। গতকাল রাতেই দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা দুই বাঁহাতি ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারের। আজ আফগানদের বিরুদ্ধে ইমরুলের খেলার সম্ভাবনা খুব বেশি। সেক্ষেত্রে একাদশের বাইরে চলে যাবেন তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত।
মুখোমুখি হওয়া ছয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের অবস্থান সমান-সমান। শুক্রবার পাকিস্তানের কাছে হারলেও নবী-রশিদ খানরা লড়েছেন বুক চিতিয়ে। উদ্দমী আফগানদের হারাতে আজ সেরাটাই খেলতে হবে বাংলাদেশকে।