ম্যাচের শেষ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৬ রান। কুদলীপ এবং কেদার যাদেব শেষ ওভারে ভারতকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায়।
ভারতের প্রয়োজন ছিল ২২৩ রান। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে অবশ্য চড়াও ছিলেন ভারতীয় দুই ওপেনার। তবে ধাওয়ানকে বেশিদূর যেতে দেননি লেগ স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। ১৪ বলে ১৫ করার পর তাকে ফিরতে হয় সৌম্যর ক্যাচ হয়ে। এরপরপরই আম্বাতি রায়ুডুকে ২ রানে বিদায় করে ম্যাচ জমিয়ে দেন অধিনায়ক মাশরাফি।
কিন্তু রোহিত শর্মা যখন উইকেটে তখন তো আশাবাদী হওয়ার তেমন কারণ থাকে না। দীনেশ কার্তিককে নিয়ে দ্রুত রান করতে থাকেন রোহিত। দ্রুত ফেরানো দরকার ছিল তাকে। তবে একটু দেরিতে হলেও ৪৮ রানে রোহিতকে বিদায় করে স্বস্তি আনেন পেসার রুবেল হোসেন। ভারতের রান তখন ১৬.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৩।
কার্তিককে ৩৭ রানে রুবেল বিদায় করেন। এরপর চিন্তার নাম ধোনি। খুব দ্রুত আউট করতে না পারলেও ধোনিকে ৩৬ রানে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন মুস্তাফিজ। ১৯ করার পর আহত হয়ে পাঠ ছাড়েন কেদার যাদব। ভারতের জন্য যেটা ছিল বাড়তি চাপ।
রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে উইকেটে ভুবনেশ্বর কুমার। ম্যাচে তখন রোমাঞ্চ। ফিফটি ফিফিটি সম্ভাবনা। গ্যালারিতে উত্তেজনা। ড্রেসিংরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে ব্যাটসম্যানদের টিপস দিচ্ছেন রোহিত শর্মা। উইকেটের জন্য প্রাণপণ লড়ছেন বাংলাদেশি বোলাররা।
শেষ ১৬ বলে ভারতের দরকার ১১ রান। সমীকরণ সহজ হয়ে গেছে তাদের জন্য। ১২ বলে ভারদের দরকার ৯ রান। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে ভুবনেশ্বর কুমারকে (২১) বিদায় করে নাটকীয়তা আনেন মুস্তাফিজ। ওভার শেষ করেন মাত্র ৩ রান দিয়ে।
ম্যাচ গড়ায় শেষ ওভারে। প্রথম দুই বলে দিলেন দুই রান। তৃতীয় বলে ২ রান। পরের বল ডট হলে ২ বলে ভারতের দরকার ২ রান। এক রান হলে টাই। পঞ্চম বলে লেগবাই থেকে ১ রান আসলে স্কোর লেভেলে এসে যায়। শেষ বলে চার নিয়ে ভারতকে নাটকীয় জয় এনে দেন কেদার যাদব।
এর আগে ওপেনার লিটন কুমার দাসের ১২১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস সত্বেও মিডল অর্ডারের শোচনীয় ব্যর্থতায় ৪৮.৩ ওভারে মাত্র ২২২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। লিটন একাই করেন ১২১ রান, ১১৭ বলে। মিরাজ ৩২, সৌম্য ৩৩ । বাকি ৭ ব্যাটসম্যান মিলে করেন মাত্র ৩০ রান ।
এমন উড়ন্ত শুরুর পরও ৩১ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বড় স্কোরের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়। ইমরুল (২), মুশফিক (৫), মিথুন (২) ও মাহমুদউল্লাহ- এই চারজনের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৩ রান! টপাটপ উইকেট পড়ে যাওয়ায় রানের গতিও থমকে যায়!
ওপেনিংয়ে টানা ব্যর্থতার পর এদিন লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে আস্থার সঙ্গে রান করেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ৪৫ বলে ৩৩ করার পর রান আউট হয়ে গেলে ৪৮.৩ ওভারে বাংলাদেশ থামে ২২২ রানে। ভারতের কুলদিপ যাদব তিনটি ও কেদার যাদব ২ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: তিন উইকেটে জয়ী ভারত।
বাংলাদেশ ইনিংস: ২২২ (৪৮.৩ ওভার)
লিটন দাস ১২১, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২, ইমরুল কায়েস ২, মুশফিকুর রহিম ৫, মোহাম্মদ মিথুন ২, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪, সৌম্য সরকার, মাশরাফি বিন মুর্তজা ৭, নাজমুল ইসলাম অপু ৭, মোস্তাফিজুর রহমান ২, রুবেল হোসেন ০*; ভুবনেশ্বর কুমার ০/৩৩, জ্যাসপ্রীত বুমরাহ ১/৩৯, যুজবেন্দ্র চাহাল ১/৩১, কুলদীপ যাদব ৩/৪৫, রবীন্দ্র জাদেজা ০/৩১, কেদার যাদব ২/৪১।
ভারত ইনিংস: ২২৩/৭ (৫০ ওভার)
রোহিত শর্মা ৪৮, শিখর ধাওয়ান ১৫, আম্বাতি রায়ডু ২, দিনেশ কার্তিক ৩৭, মহেন্দ্র সিং ধোনি ৩৬, কেদার যাদব ২৩*, রবীন্দ্র জাদেজা ২৩, ভুবনেশ্বর কুমার ২১, কুলদীপ যাদব ৫*; মেহেদী হাসান মিরাজ ০/২৭, মোস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল ইসলাম অপু ১/৫৬, মাশরাফি বিন মুর্তজা ১/৩৫, রুবেল হোসেন ২/২৬, মাহমুদ