ভারতের সিলংয়ে মামলার কারণে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদসহ ১৫ জন স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (সিজেএম) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
২০১১ সালে পুলিশকে সরকারি কাজে বাঁধাসহ হত্যা প্রচেষ্টার একটি মামলায় (পুলিশ এসল্ট) কক্সবাজারের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত একটি ঘটনায় সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হন। এ ঘটনার ব্যাপারে চকরিয়া থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াছিন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সহ ২২ জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আসামিদের নিয়োজিত আইনজীবী এবং কক্সবাজার জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না জানান-‘আজ (বৃহস্পতিবার) মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। মামলার ৭ জন আসামি আদালতে হাজির থাকলেও অপর ১৫ জন আসামির জন্য সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালত সময় নামঞ্জুর করে মামলার সকল আসামিদের বিরুদ্বে অভিযোগ গঠন করেছে।’
প্রসঙ্গত বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং বিএনপি চেয়ার পারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ঘনিষ্টজন হিসাবে পরিচিত সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমদ বর্তমানে ভারতের শিলংয়ে একটি মামলায় আটক হয়ে বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন। আগামী নভেম্বর মাসে সিলংয়ের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাটির রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।