সৌদি আরব থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরত যাওয়া ১৪৪ জন শ্রমিকের বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দূতাবাসের দৃষ্টিগোচর হয়েছে জানিয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে দূতাবাস।
দূতাবাসের দ্বিতীয় সচব (প্রেস) মো: ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সেই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিকগণ ইকামায় (কাজের অনুমতিপত্র) উল্লেখিত পেশা ও যে কোম্পানি বা মালিকের অধীনে কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট করা আছে সেখানে কাজ না করে অন্য স্থানে বা অন্য কোন পেশায় কাজ করাতে সৌদি সরকার তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে।
সম্প্রতি সৌদি আরবে সরকার ১২টি পেশায় প্রবাসীদের কাজ করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এসব ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সৌদি আরবের নাগরিকগণ কাজ করতে পারবে। প্রবাসীদের জন্য নিষিদ্ধ করা কর্মক্ষেত্রগুলো হল ঘড়ির দোকান, চশমার দোকান, ঔষধ সরঞ্জামের দোকান, বৈদ্যুতিক ও ইলেক্ট্রনিক দোকান, প্রাইভেট কারের খুচরা যন্ত্রাংশের দোকান, ভবন নির্মাণের উপাদান, কার্পেটের দোকান, অটোমোবাইলের দোকান, ফার্নিচারের দোকান, প্রস্তুতকৃত তৈরি পোশাকের দোকান, শিশু ও পুরুষদের পোশাকের দোকান, চকলেট ও মিষ্টির দোকান।
বর্তমানে যে কোন অভিবাসীকে উল্লেখিত পেশায় নিয়োজিত পাওয়ামাত্র তাদের অবৈধ বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া পূর্বে নিষিদ্ধ সবজি বিক্রয়ের দোকানে বাংলাদেশীদের কর্মরত পাওয়া যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অবৈধ শ্রমিকদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানো সৌদি সরকারের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। ইকামা ফি নির্ধারণ সৌদি সরকারের নিজস্ব নীতিগত বিষয়, যা সকল বিদেশী শ্রমিকদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবে সরকার যে কোন সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কমপক্ষে ৬ থেকে ১৮ মাস পূর্বে নোটিশ প্রদান করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে সৌদি সরকারের সম্পর্ক অত্যন্ত সহযোগিতাপূর্ণ এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের সহায়তা প্রদানে সৌদি সরকার খুবই আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল।
সৌদি আরবে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীদের সকল ধরনের সেবা প্রদানে দূতাবাস অঙ্গীকারবদ্ধ। সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশীদের যে কোন প্রয়োজনে দূতাবাসের পরামর্শ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হল।