বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি মঙ্গলবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল এ ঝড়ের নাম দিয়েছে ‘তিতলি’। এটি বাংলাদেশ উপকূলে ১১ অক্টোবর মধ্যরাতে আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার, মতিঝর্ণা, বাটালিহিলসহ পাহাড়গুলোতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার ভোর থেকে চট্টগ্রামে বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে আকাশ মেঘলা রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে আরও অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং বৃহস্পতিবার দিনের প্রথম ভাগে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
এদিকে আরব সাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘লুবান’। ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করে ওমানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।