মামলার আসামিদের হাজিরার তারিখে জেলখানা থেকে আদালতে আনার ঝামেলা থেকে বাঁচতে দেশের প্রতিটা জেলখানায় একটা করে কোর্টরুম স্থাপনের অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটা জেলখানায় একটা করে কোর্টরুম স্থাপন করতে হবে। এতে করে মামলা পরিচালনা সুবিধা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ অনুশাসন দেন। সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান।
এদিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় মোট ১৯ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকার ২১ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় ৬২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার পুনঃনির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটা জেলখানায় একটা করে কোর্টরুম রাখতে হবে। ফিজিক্যালি হাইকোর্টে না এনে যাতে এখানে মামলা পরিচালনা করা যায়।
জেলখানা শাস্তির স্থান না করে পুনর্বাসনের স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এখানে তাঁতসহ নানা ধরনের উৎপাদনমুখী কাজ করা হবে। এখান থেকে যে আয় হবে কয়েদিদের তা থেকে ভাগ দেওয়া হবে। প্রতিটি জেলখানায় একটা টেলিফোন বুথ থাকবে। যাতে করে কয়েদিরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন।