কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। সাগর উত্তাল থাকায় গত ৮ মে এই নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের সমন্বয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে এ নৌরুটে চলাচলের জন্য তিনটি পর্যটকবাহী জাহাজ ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জাহাজগুলো হলো- কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ও বে-ক্রুজ। পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ও বে-ক্রুজ শুক্রবার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে টেকনাফ থেকে ছেড়ে যাবে। তবে শনিবার থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজও চলাচল করবে।
কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, গত ৮ মে থেকে এ নৌরুটে সাগর উত্তাল থাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে ১৭১ দিন ধরে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে সাগর শান্ত ও পর্যটকদের কথা চিন্তা করে আবারও পর্যটক পারাপারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অনুমতি সাপেক্ষে এই নৌপথে শুক্রবার থেকে জাহাজ চলাচল শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিনে হোটেল, কটেজসহ প্রতিটি আবাসিক ও খাবার হোটেলে মূল্য তালিকা টাঙানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জাহাজ কর্তৃপক্ষ যাতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করে এবং ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নিদেশ দেওয়া হয়। ভাটার সময় কোনো পর্যটক যাতে সেন্টমার্টিন সৈকতের পানিতে না নামেন, সে ব্যাপারে প্রচারণা চালানোর জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, জাহাজ চলাচলের অনুমতির খবর দ্বীপে পৌঁছলে সব শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে আসে।