#মি টু’ অভিযানে ধীরে ধীরে একের পর এক বলিউড তারকা যুক্ত হচ্ছেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের ভয়ংকর সেই দিনের কথা প্রকাশ্যে বলতে এতটুকু কুণ্ঠাবোধ করছেন না। পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে একাধিক নারী যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন। অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা বোস সাজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, সাজিদ তাঁর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেছেন। এবার মুখ খুলেছেন সাজিদ খানের সাবেক প্রেমিকা বলিউড তারকা জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ।
জ্যাকুলিন এত দিন ‘#মি টু’ অভিযান নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। তাঁর সাবেক প্রেমিক সাজিদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক, অভিনেত্রী, পরিচালকসহ অনেকেই যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন। অভিনেত্রী বিপাশা বসু বলেছেন, সাজিদ সেটে নানা অশ্লীল আচরণ এবং কুরুচিকর কথা বলতেন। এবার ‘#মি টু’ নিয়ে মুখ খুললেন জ্যাকুলিন। তিনি বললেন, ‘শুধু বলিউডে নয়, যৌন শোষণ সব জগতেই হয়। সমাজজুড়ে এই শোষণ হচ্ছে। এ ধরনের কুরুচিকর মানুষ সমাজের সব ক্ষেত্রেই আছে। বাড়িতেও আমরা অনেক সময় এ ধরনের মানুষ দেখি। আমাদের মূল লক্ষ্য থেকে সরে গেলে চলবে না।’
সাজিদ খান ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজজ্যাকুলিন আরও বলেন, ‘সবকিছু শুধু যৌনতাকে কেন্দ্র করে নয়। এখানে শক্তির অপব্যবহার করা হয়। নারী-পুরুষের সমতা নিয়ে আমরা অনেক কথা বলি। শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একে বেঁধে রাখলে চলবে না। সমাজের প্রতি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার থাকা প্রয়োজন। এখন মেয়েরা সরব হচ্ছে। আমি এই অভিযানকে স্বাগত জানাচ্ছি।’
জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজজ্যাকুলিন আর সাজিদের সম্পর্ক ২০০৯ থেকে চার বছর স্থায়ী হয়। শোনা গেছে, দীর্ঘ এই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার মূলে ছিলেন সাজিদ। তিনি জ্যাকুলিনের ওপর অন্যায়ভাবে অধিকার ফলাতেন। আর তার জন্য এই বলিউড সুন্দরী খুবই বিরক্ত হতেন। এমনকি জ্যাকুলিনের সব সিদ্ধান্ত সাজিদ নিতেন। সাজিদের এই ব্যবহার তাঁর কাছে ধীরে ধীরে অসহ্য হয়ে ওঠে। তাই জ্যাকুলিন এই পরিচালকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ইতি টানেন। এই বলিউড সুন্দরী সাজিদের থেকে ১৪ বছরের ছোট। ‘হাউসফুল’ ছবির শুটিংয়ের সময় জ্যাকুলিন ও সাজিদ একে অপরের কাছাকাছি আসেন। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ক্রমেই বাড়ে। জ্যাকুলিন চেয়েছিলেন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের একজন হতে। সাজিদ তখন এই বলিউড সুন্দরীকে অনেক সাহায্য করেছেন। ‘হাউসফুল টু’ ছবিতেও তিনি জ্যাকুলিনকে সুযোগ দেন। এ দুটি ছবি জ্যাকুলিনের ক্যারিয়ারের গ্রাফকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যায়।