নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ঐক্যফন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন সংলাপে সন্তুষ্ট হয়েছেন। এ ধরনের আলোচনা একদিনে শেষ হবার নয়। তাদের প্রথমদিনের আলোচনা ব্যর্থ হয়নি। বিএনপির সভা-সমাবেশে এখন কোনো বাধা নেই। তারা তাদের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবে। তাদের কার্যক্রমের ওপর কোনো বিধি-নিষেধ থাকছে না। এটাও তো আলোচনার সাফল্য। এতে পরিষ্কার হয়, সংবিধান ঠিক রেখে আলোচনা কিংবা সংলাপে যেটা করা সম্ভব সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে সেটা করবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এবং সবাইকে নিয়ে এ নির্বাচনে অংশ নিতে চায় আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার সকালে মাদারীপুর জেলার আচমত আলী খান স্টেডিয়ামে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ঐক্যফ্রন্টের সংলাপে বিএনপির অংশ নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল খালেদার মুক্তি দাবি। দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারে। বিএনপি শুধু মিথ্যা বলে বেড়ায়। তারা বোঝে না, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে শুধুমাত্র আইনিভাবেই আদালত থেকে বের করা যায়, অন্য কোনোভাবে নয়।
অনুষ্ঠানে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. মিয়াজউদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহম্মেদ, পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুল আলম বাবু চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, শ্রমিক নেতা খায়রুল হাসান ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রহমান বাচ্চু।