রনি মোল্লা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে গোপনে জন্ম নেয়া সেই নবজাতকের বাবার খোঁজ মিলেছে।ওই নবজাতকের বাবার নাম রনি মোল্লা। রনি এবং ওই ছাত্রী দুই জনের বাড়িই পাবনায়।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে রনি ও ওই ছাত্রী পড়াশোনা করেছেন পাবনার শহীদ সরকারি বুলবুল কলেজে। সেখান থেকে তাদের জানা শোনা। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হলে থাকার সুযোগে দুজনই মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়।
তাদের সহপাঠীরা জানান, রনির সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ওই ছাত্রীর। তবে ওই ছাত্রী যে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তা হলের অন্য মেয়েরাও বুঝতে পারেনি। কারণ সে বোরকা পরে চলাফেরা করতো।
শনিবার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে গোপনে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন জাবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ওই ছাত্রী। সন্তানের বিষয়টি গোপন রাখতে নবজাতকে ট্রাংকে তালাবদ্ধ করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য জানায়।
পরে ওই নবজাতকের কান্নার শব্দে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় হল কর্তৃপক্ষ। উদ্ধারের পর নবজাতকটিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নবজাতকের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, নবজাতককে হাসপাতালে আনার পর তার সম্পূর্ণ শরীরর নীল রঙ ধারণ করেছিল। অক্সিজেন দিয়ে নবজাতকেটিকে এনাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নবজাতকের মৃত্যু হয়।
এদিকে ওই ঘটনার পর থেকে রনির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর রনি তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসে তাদের বিবাহের বিষয়টি স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহা. মুজিবর রহমান জানান, বিষয়টি আমরা জানি এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, হলে সন্তান প্রসব অবৈধ। এটা কেন হলো, কী কারণে এমটি ঘটলো তা জানার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।