ফাইল ছবি
দ্বিতীয় ধাপে ১১৬টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বচানে চেয়ারম্যান পদে ২৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৩৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৪৮জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪শ’ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য দায়িত্বে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পার্বত্য উপজেলায় সেনাবাহিনীও কাজ করেছে।
নির্বাচন উপলক্ষে আজ সংশ্লিষ্ট উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে কমিশন থেকে সব ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই নির্বাচনে কোন রকম অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
শনিবার মধ্যরাত থেকে সকল ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। এবারের উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ায় নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে।
নির্বাচনী এলাকায় যানবাহন চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনের দু’দিন আগে, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরের দিন মোট ৫দিন অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন প্রতিটি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ১৪ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ইতোমধ্যে ইসি বেশ কিছু দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিয়েছে।
গত ১০ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৮ উপজেলায় ভোট হয়, ভোট পড়ে ৪৩ শতাংশ। প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে ভোট হয় ৭৮ উপজেলায়। এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান হন ২৮ জন।
দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ৪৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করেছে ইসি। সেলের সদস্যরা নির্বাচনের এক দিন আগে থেকে পরের দিন পর্যন্ত ইসিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবহিত করার পাশাপাশি নির্বাচন সামগ্রী তদারকি করবেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি ১৮ মার্চ ভোটের দিন রেখে ১২৯ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করে ইসি। একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ৬ উপজেলায় ভোটের দরকার পড়ছে না। আরও ৬ উপজেলার ভোট পিছিয়েছে ইসি। আদালতের নির্দেশে গোবিন্দগঞ্জের নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। এজন্য ১৮ মার্চ ১১৬ উপজেলায় ভোট হবে। দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন চেয়ারম্যান, ১৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১২ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান।
ইসির তথ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে লড়ছেন ১ হাজার ৩১০ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ৩৭৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৩৯ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৯৪ জন। এসব উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্র ৭০৩৯টি, ভোটার ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৬ জন।
আগামী ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপের, ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপের ভোট হবে এবং পঞ্চম ও শেষ ধাপের ভোট হবে ১৮ জুন।