ফাইল ছবি
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। গতকাল রবিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে মন্ত্রীর সহধর্মিণী ইশরাতুন্নেসা কাদের হাসপাতালের লবিতে অপেক্ষমাণ মন্ত্রীর সহকর্মী, সিঙ্গাপুর ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের মন্ত্রীর বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেন।
মন্ত্রিপত্নী জানান, ওবায়দুল কাদের আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ। গতকাল সকালে নিজেই দাঁত ব্রাশ করে নাশতা করেছেন। দুপুরে নিজ হাতে খাবার খেয়েছেন। এ ছাড়া তিনি এখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে কেবিনের ভেতরে নিজেই ধীরে ধীরে হাঁটাচলা করছেন।
তিনি জানান, অসুস্থ হয়ে এখানে আসার পর প্রথম যেদিন তিনি স্বাভাবিক জ্ঞান ফিরে পান, তখন আমি চিকিৎসক রিজভীকে দেখিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তাঁকে চিনতে পারছেন? তিনি তখন মাথা নেড়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দেন। পরে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ডাকসু নির্বাচনের খবর কী? ডা. রিজভী ও মিসেস কাদের তখন তাঁকে বলেন, ডাকসু নিয়ে ভাবার অনেক মানুষ আছে, আপনি এখন চুপ থাকুন। ইশরাতুন্নেসা তখন ঠাট্টা করে বলেন, এই কথোপকথনের মাধ্যমে তাঁর কিন্তু নিউরো টেস্ট হয়ে গেল।
দেশবাসীর দোয়ায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন উল্লেখ করে ইশরাতুন্নেসা কাদের আরো বলেন, ‘এত মানুষ তাঁর জন্য আল্লাহর কাছে হাত তুলেছেন। মহান অল্লাহ সেই হাত কি ফিরিয়ে দিতে পারেন।’
তিনি জানান, গতকালও ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমি তো এখন বেশ সুস্থ। চলো দেশে যাই। আমার অনেক কাজ। এত বড় হাসপাতালে আমি চিকিৎসা নিচ্ছি দেশবাসী কী ভাবছে?’ মন্ত্রিপত্নী তখন তাঁকে বলেন, ‘ক্রিটিক্যাল পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী তোমাকে এখানে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন। এটা নিয়ে তুমি ভেবো না।’ তখন তিনি আবার বললেন, ‘তা হোক হাসপাতালের বিল কিন্তু আমি দেব।’
ইশরাতুন্নেসা আরো বলেন, ‘তাঁর যে বাইপাস অপারেশন করা হবে সেটা এখনো তাঁকে জানানো হয়নি। এখানকার চিকিৎসকরাই সময়মতো তাঁকে সেটা জানাবেন।’
এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ও নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হলে গত ৪ মার্চ তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সযোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর আনা হয়।