প্রতীকি ছবি
মেয়েরা সাধারনত চাপা স্বভাবের হয়। তাই তাকে বশ মানিয়ে নিজের বাহুডোরে নিয়ে আসা চাট্টিখানি কথা নয়! কাউকে দেখেই আপনার যদি তার সঙ্গে মিলিত হতে ইচ্ছে হয়, তবে সেটা দোষের কিছু নয় যদি উল্টো দিকের মানুষটিও আগ্রহী হন!
সমস্যা হল, আমাদের সমাজে শারীরিক মিলন নিয়ে নানা গোপনীয়তা বজায় রাখতে চান মহিলারা। সেই গোপনীয়তা বজায় রেখে, তার বিশ্বাস অর্জন করে এবং সবার শেষে তার শরীরে-মনে আপনার জন্য তুমুল আকর্ষণ তৈরি করে কীভাবে মিলিত হবেন?
১১টি মন্ত্র ঝটপট জেনে নিন-
মেয়েটির ঘনিষ্ঠ হন
ঘনিষ্ঠতা এখানে একেবারেই মানসিক। কোনও মেয়ের সঙ্গে মিলিত হতে চাইলে সবার আগে তার সঙ্গে একটা মানসিক যোগাযোগ গড়ে তুলুন। তার সঙ্গে কথা বলুন। আচরণ হোক বন্ধুত্বপূর্ণ। দেখবেন, মেয়েটি আপনার সঙ্গ পছন্দ করছে।
হয়ে উঠুন তার পছন্দের মানুষ
মানুষ শব্দটার উপরে একটু খেয়াল করুন। পছন্দের পুরুষ হওয়ার আগে কিন্তু পছন্দের মানুষ হয়ে ওঠাটা জরুরি। আর, কোনও মেয়ের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে এই দ্বিতীয় ধাপটাই সব চেয়ে গোলমেলে। এই ধাপেই বুঝতে পারবেন, সুযোগ পাচ্ছেন, না কি হারাচ্ছেন! সুযোগ পাওয়ার জন্য ধীরে ধীরে মেয়েটির পছন্দ-অপছন্দ জানুন। তার সঙ্গে গল্প করুন। শেয়ার করুন নিজেদের কমন ইন্টারেস্ট। দেখবেন, মেয়েটিও আপনার সঙ্গে কথা বলার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকছেন!
রাতে সক্রিয় হন
আরে, এখনই উত্তেজিত হয়ে উঠবেন না। এখানে আমরা একেবারেই কথা বলা বা টেক্সট করার ব্যাপারে সক্রিয় হওয়ার কথা বলছি। খেয়াল রাখুন, কথোপকথন শুরু করার জন্য সন্ধ্যাটা সবচেয়ে ভাল। সন্ধ্যা থেকেই একটা-দুটো মেসেজ পাঠাতে থাকুন। তাহলে উল্টো দিকেও কথা বলার আগ্রহ বাড়বে। তারপর, একটু রাত জেগে না হয় কথাই বলুন! তবে ভুলেও এই ধাপে সেক্সের কথা তুলবেন না। তাহলেই সুযোগ হারাবেন।
দিনে-রাতে হয়ে উঠুন আলাদা মানুষ
রাতে গল্প করার সময়ে দু-একটা দুষ্টুমির ইঙ্গিত দিলেও সকালে সেসব প্রসঙ্গ একেবারেই তুলবেন না। তাহলেই একটা ভারসাম্য বজায় থাকবে। মেয়েটিও আপনাকে পছন্দ করবেন। তিনি বুঝতে পারবেন, আপনি যৌনকাতর নন!
তাকে পছন্দ করেন, এটা বলবেন না
আপনি যে তাকে পছন্দ করেন, তার প্রতি শারীরিক ভাবে আকৃষ্ট- সেসব কোনও কিছুই জানানোর দরকার নেই। তাহলে তিনি ভেবে নেবেন আপনি শুধুই যৌনতা চাইছেন! এবং, সঙ্গে সঙ্গে পছন্দের তালিকা থেকে খারিজ করে দেবেন আপনাকে।
আলতো স্পর্শের সময়!
এই পাঁচটি পর্যায় ঠিকঠাক ভাবে পেরিয়ে এলে নিশ্চিত হতে পারেন, আপনার সুযোগ আছে। নিশ্চিতভাবেই এই পাঁচ ধাপে আপনাদের ঘনিষ্ঠতাও বাড়বে। অতএব, এবার কথা বলার সময়ে তার খুব কাছ ঘেঁষে বসতে পারেন। কিন্তু, এটা বুঝতে দেবেন না যে ইচ্ছে করেই কাছ ঘেঁষে বসছেন। আপনিও ব্যাপারটা খেয়ালই করেননি, এটাই তো স্বাভাবিক- ঠিক এই মানসিকতা বজায় রাখতে হবে। মাঝে মাঝে কিছু দেওয়া-নেওয়ার সময় আলতো করে স্পর্শও করতে পারেন।
সেক্সুয়াল টেনশন তৈরি করুন
এবার প্রায় সরাসরি এগোনোর সময়! যখন আর কেউ নেই, আলতো করে তার আঙুল জড়িয়ে নিতে পারেন নিজের আঙুলে। কানাকানি কথা বলার ছলে মাঝে মাঝেই তার কানে আপনার ঠোঁট স্পর্শ করেন। দেখবেন, কয়েকদিনেই তিনি আপনার স্পর্শের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকবেন।
খেলতে থাকুন!
উঁহু! এখনও বিছানায় যাওয়ার সময় আসেনি! রাতে দুষ্টুমি মেশানো মেসেজ পাঠানোর সংখ্যাটা আরও একটু বাড়ান। তবে, সীমার মধ্যে থেকে। দিনের বেলায় চলতে থাকুক আলতো স্পর্শের খেলা। দেখবেন, মাঝে মাঝে মেয়েটি নিজেই স্পর্শ করছেন আপনাকে। মানে, তিনি তৈরি!
যৌন উত্তেজক কথা
এখনও কিন্তু নয়! কোনও মেয়েই হ্যাংলা ছেলে পছন্দ করেন না। তাই এই ধাপে এমন কিছু মেসেজ পাঠান রাতে যা আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ হলেও বহন করছে যৌন ইঙ্গিত। দেখবেন, মেয়েটি সাড়া দিচ্ছেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এবার আপনারা মেতে উঠতে পারেন সেক্স চ্যাটে!
ডেটিংয়ের প্রস্তাব দিন
সেক্স চ্যাট হয়েছে মানেই আপনারা যখন খুশি মিলিত হতে পারেন। তাই, এবার মেয়েটিকে বলুন, আপনি তার সঙ্গে বাস্তবেও মিলিত হতে চান। জেনে নিন, তিনি নিজের বাড়িতে আপনাকে ডাকতে চান, না কি আপনার বাড়িতে আসাটা পছন্দ করছেন! দরকার হলে, কোনও বিশ্বাসযোগ্য বন্ধুর ঘরেও তাকে নিয়ে যেতে পারেন।
সঙ্গম-কাল!
আপনার সঙ্গে সেক্স চ্যাট করার পরে, আপনার ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরে এলেও সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না! তাকে ধীর স্পর্শ, আলতো চুমু এবং উষ্ণ কথোপকথনে উত্তেজিত করুন। তারপর দেখবেন, যেমনটা আশা করেছিলেন, ব্যাপারটা তার চেয়েও ভাল হল!