প্রথম খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল সাবেক দুই বিশ্বকাপজয়ী দল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে গেছে আর্জেন্টিনা। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে লিওনেল মেসি ছিলেন আশা-ভরসার প্রতীক। দল তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল। মেসির সামর্থ্যের ব্যাপারটি মাথায় রেখে অভিজ্ঞদের যতটা সম্ভব তাঁর খেলার ধরনের সঙ্গে অভ্যস্ত হতেই পরামর্শ ছিল আর্জেন্টাইন কোচ হোর্হে সাম্পাওলির। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যর্থই বলা যায় মেসিকে। মেসির কাছ থেকে সেরা খেলাটা বের করার সব চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি আর্জেন্টাইন কোচ।
২০১৪ সালের পর মেসি আর্জেন্টিনা কিংবা তাঁর ক্লাব বার্সেলোনায় কখনো ফলস নাইন পজিশনে খেলেনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে একাদশে যোগ হন ক্রিস্তিয়ান পাভন। আক্রমণভাগের ডান পাশে পাভনকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে মেসি খেলেছেন ফলস নাইন পজিশনে। তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। দল হেরেছে ৪-৩ গোলের বড় ব্যবধানে। মেসি পাননি কোনো গোলের দেখা।
আর্জেন্টিনার কোচ সাম্পাওলি জানান, তিনি মেসির কাছ থেকে সেরাটা বের করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় আছে। তাই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছিলাম, যাতে অনেক দারুণ মুহূর্ত তিনি উপহার দিতে পারেন। তাঁকে ঘিরে আমরা কৌশল সাজিয়েছি। তাঁর জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছি। আমরা সবকিছু করার চেষ্টা চালিয়েছি, যাতে তিনি তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারেন। কখনো সফল হয়েছি, কখনো ব্যর্থ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা হয়তো বেশ কিছু ভুল করেছি। কিন্তু এখনই সেসব বিষয়ে বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনীয় মনে করছি না। আমরা তো জানি, আমরা আসলে কী চেয়েছিলাম।’