আবরার ওভারব্রিজের নির্মাণ কাজের ছবি
বাড্ডা প্রগতি সরণির সড়কে এখনও রক্তের দাগ শুকায়নি। সাদা রঙে আঁকা জেব্রা ক্রসিং এখনও আবারারের রক্তে লাল। ঘিরে রাখা হয়েছে জায়গাটি। এরই মধ্যে আশ্বাস অনুযায়ী ঘটনার দু’দিন পেরুতেই না পেরুতেই শুরু হয়েছে সুপ্রভাত বাসের চাপায় নিহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী (২০) নামে ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজ।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে আবরারকে যেখানে বাসটি চাপা দেয় ঠিক তার কয়েক গজ দূরে রাস্তার পাশে কাজ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। বুধবার (২০ মার্চ) আবরারের বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহমেদ চৌধুরীর পক্ষে এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এখানকার জনগণের, ছাত্রছাত্রীদের দাবি, এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ হোক। আমি গতকাল এখানে এসে বলেছিলাম, এখানে ফুটওভার ব্রিজ হবে। আজ তার কার্যক্রম শুরু করে গেলাম। আগামী দুই মাসের মধ্যে এ ব্রিজের কাজ শেষ হবে। এ ব্রিজ আবরারের নামে হবে, আর এর উদ্বোধক হবেন তার বাবা।
বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, পুরোদমে চলছে নির্মাণ কাজ। কাজের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে জোয়ার সাহারা বাজারের দিকে যাওয়ার সড়কটি। সেখানে ওভারব্রিজের পাইলিংয়ের কাজ চলছে। লেগে আছে উৎসুক জনতার ভিড়।
অনেককে বলতে শোনা গেলো, জায়গাটিতে দীর্ঘদিন এটি দরকার ছিল। শেষ পর্যন্ত আবরারের জীবনের বিনিময়ে জনগণ ওভারব্রিজটি পাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে প্রগতি সরণি এলাকায় সুপ্রভাত বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর শিক্ষার্থী আবরার আহম্মেদ চৌধুরী নিহত হন। পরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৮ দফা দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রভাত ও জাবালে নূর পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল করে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বুধবার দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় আশ্বাসেরে পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি ২৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে।