তথ্য ফাঁসের ঘটনায় কাঠগড়ায় ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকারবার্গ। মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে বেশ নার্ভাস ছিলেন তিনি।
কংগ্রেসের সামনে জুকারবার্গ জানিয়েছেন, ফেসবুক তার তৈরি। এর সব দায়ভার তারই। যা ভুল হয়েছে, তার জন্য তিনি ক্ষমা চাইছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, আগামী দিনে ফেসবুকে তথ্য চুরি হওয়া আটকাতে তারা নতুন কী কী উপায় অবলম্বন করছেন।জেনে নিতে পারেন কোন চারটি বিষয়ে কড়াকড়ি করছে ফেসবুক।
অন্যের যে কোনো তথ্য শেয়ার করা
তথ্য চুরি রুখতে ফেসবুক গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের ব্যাপারে আরও কড়া হতে চাইছে। অন্যের পোস্ট শেয়ার করা (বিশেষ করে গ্রুপ থেকে), একই ইভেন্টে যাওয়ার খবর শেয়ার করার মতো বিষয়গুলোর দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।
খুব বেশি ব্যক্তিগত তথ্য ডেভেলপারদের কাছে থাকা
ডেভেলপাররা যাতে গ্রাহকদের খুব বেশি ব্যক্তিগত তথ্যে না পান, সেদিকেও লক্ষ রাখা হচ্ছে। এখন থেকে গ্রাহকদের কোনো কোনো ব্যক্তিগত তথ্য জানতে হলে অনুমোদন নিতে হবে বা চুক্তি সই করতে হবে।
থার্ড পার্টি অ্যাপে তথ্য চলে যাওয়া
থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমেই কিন্তু তথ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে। তাই সেদিকেও বিশেষ নজর রাখছে ফেসবুক। সাধারণত বহু অ্যাপই গ্রাহকদের ব্যক্তিগত বহু তথ্যের অ্যাকসেস চায়। ফেসবুকের নতুন নিয়মে এবার থেকে কেবল নাম, প্রোফাইল ফটো ও ই-মেইল এর বেশি আর কোনো তথ্যই এই ধরনের অ্যাপগুলো চাইতে পারবে না। এমন কী, কোনো অ্যাপ যদি গ্রাহকরা শেষ ৩ মাসে ব্যবহার না করে থাকেন, সেক্ষেত্রে ডেভেলপাররা অ্যাকসেস পাবেন না সেই গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের।
ফোন নম্বর বা ই-মেইল দিয়ে সার্চ করা
ফেসবুকে কাউকে খুঁজে বের করতে হলে অনেক সময়ই তাদের ফোন নম্বর বা ই-মেইলও কাজে লাগে। বিশেষ করে একই নামের অন্য ব্যক্তিদের ভিতর থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হলে। এখন থেকে এই সেবা আর পাওয়া যাবে না।