ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক সংকট আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে। দেশটিতে সেনা পাঠিয়েছে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর মিত্র রাশিয়া।
রুশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এবং প্রায় ১০০ সেনা নিয়ে শনিবার দুটি বিমান ভেনেজুয়েলার প্রধান বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
একটি ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট জানায়, শুক্রবার ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসের উদ্দেশে একটি রুশ সামরিক বিমানবন্দর থেকে দুটি বিমান রওনা হয়।
আরেকটি ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট জানায়, রোববার একটি বিমান কারাকাস ত্যাগ করেছে।
সাংবাদিক হাভিয়ের মায়োরকা টুইটারে লিখেন, শনিবার প্রথম বিমানে পদাতিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ ভাসিলি তোনকোশকুরভ পৌঁছান। দ্বিতীয় কার্গো বিমানে ছিল ৩৫ টন সরঞ্জামাদি।
রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিক রুশ দূতাবাসের বরাত দিয়ে জানায়, ‘পারস্পরিক আলোচনার’ জন্য কর্মকর্তারা এসব ফ্লাইটে কারাকাস গিয়েছেন। দুপক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প সম্পন্ন করা বাকি আছে, এগুলো সামরিক ঘরানার প্রকল্প।
রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রোববার মাইকেতিয়া বিমানবন্দরে একটি রুশ যাত্রী পরিবহন বিমানও দেখা গেছে। তবে এনিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ভেনেজুয়েলার তথ্য মন্ত্রণালয়।
গত বছরের শেষের দিকে বিতর্কিত নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণ করেন মাদুরো। বিরোধী দল তাকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানালে দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়। অধিকাংশ দেশ এ নির্বাচনকে স্বীকৃতি না দিলে পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হয়।
নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়ে ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নেতা হুয়ান গুয়াইদো দাবি করেছেন, যখন প্রেসিডেন্ট ‘অবৈধ’ হবেন, তখন সংবিধান অনুযায়ী তার ক্ষমতা গ্রহণের বিধান রয়েছে।
গুয়াইদোকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রায় ৪০ দেশ সমর্থন দিয়েছে। অন্যদিকে মাদুরোর পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া, চীন ও তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ।