প্রতীকি ছবি
চলতি বছর তিন দফায় শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ ও দুই দফায় নিবন্ধন পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ইতিমধ্যে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে সুপারিশ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
জানা যায়, গত ডিসেম্বরে এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে এক হাজারের বেশি মহিলা কোটার পদে আবেদন জমা পড়েনি। সেসব পদে ৩য় চক্রে বিশেষ নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। অপরদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজারের বেশি শূন্যপদ এখনো ফাঁকা রয়েছে। এপদ গুলোতে নিয়োগের জন্য ৪র্থ চক্রের সুপারিশ করা হবে। ৪র্থ চক্রের নিয়োগের জন্য মেধাভিত্তিক আবেদন গ্রহণ করা হবে। নারী পুরুষ সবাই আবেদন করতে পারবেন। তিনি জানান, ১ থেকে ১৪ তম নিবন্ধনধারীদের কথা মাথায় রেখে এ দুই দফার নিয়োগ সুপারিশের গণবিজ্ঞপ্তি ১৫তম নিবন্ধনের ফল প্রকাশের আগেই প্রকাশ করা হবে।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আশফাক হুসেন গণমাধ্যমকে জানান, বর্তমানে ১ম চক্রের অর্থাৎ ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে কম্পিউটার শিক্ষকদের ২য় ধাপের নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। কম্পিউটার পদে ১০৪৮ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হলেও ৩১৩জন যোগদান করেছে। বাকি প্রায় ৭০০ পদে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপারিশ করা হবে। চলতি মাসের শেষে এ সুপারিশ করা হবে।
এরপর আগামী মাসে ২য় চক্রের দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা যোগদান করেননি সেসব অভিযোগ যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। প্রার্থীরা কেন যোগদান করেননি সে বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে করা প্রার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মেধাতালিকায় পরবর্তি অবস্থানে থাকা প্রার্থী নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।
তিনি জানান, ১৫তম নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর আসবে আরও একটি বড় নিয়োগ।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন বলেন, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে তিনটি নিয়োগ এবং দুইটি নিবন্ধন পরীক্ষা সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৫তম নিবন্ধনের ফল প্রকাশের আগেই দুই দফায় শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। এর একটি মহিলা কোটায় অপরটি মেধাভিত্তিক।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান জানান, ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশের পর আরও একটি অর্থাৎ পঞ্চম চক্রে নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করছি আমরা। এ নিয়োগের জন্য শূন্য পদের চাহিদা সংগ্রহ করা হবে। তবে, ধারণা করছি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার শূন্য পদে এ নিয়োগ সুপারিশের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সব মিলিয়ে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ শিক্ষক নিয়োগের সুপরিশ করার পরিকল্পনা রয়েছে এনটিআরসিএর।
এছাড়া এ বছরের শেষভাগে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আশফাক হুসেন।