রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ জনের পরিচয় মিলেছে।
এরা হলেন- শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস (৩০), পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমেনা ইয়াসমিন (৪০), মামুন (৩৬), আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)।
ধারণা করা হচ্ছে- নিহতদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এ ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে ভবন থেকে পাইপ ও তার বেয়ে নামতে গিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের মধ্যে ৭০ জনকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে আনা হয় সাতটি লাশ। তখনো তারা অজ্ঞাত। ঠিক এমন সময় একটি মরদেহের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। আর তাতেই মিলল একজনের পরিচয়।
ওই যুবকের নাম ফজলে রাব্বি (২৭)। এক সন্তানের এই জনকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ভুঁইগড়ে। মর্গে রাব্বির সঙ্গে থাকা ফোন বেজে উঠলে তা বের করে কথা বলেন লাশের সঙ্গে থাকা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের একজন কর্মী। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এ কথা জানালেন রাব্বির বড় বোন শাম্মী আক্তার।
ফোনে শাম্মী আক্তার জানান, ফজলে রাব্বি দুর্ঘটনাকবলিত এফ আর টাওয়ারের ১১ তলায় ইউরো সার্ভিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ২৩ তলাবিশিষ্ট বনানীর এফ আর টাওয়ারের ৯ তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করে রাতে আগুন নেভায়। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, রেড ক্রিসেন্টসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত অনেক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেছেন।