বনানীর এফআর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাস্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার রাতে পৃথক শোক বার্তায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এ আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস বলছে ভবনের ৯তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। সন্ধ্যার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। রাত ১০ টা পর্যন্ত সবমিলিয়ে ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে লাশের সারি।
এফআর টাওয়ারের সামনেই ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে টানানো হয়েছে একটি বোর্ড। সেখানে আহত এবং নিহত ব্যক্তিদের হিসাব রাখা হচ্ছে। আগুনের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করেছে। সেই সঙ্গে বিল্ডিংয়ের ওপর থেকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা হয়েছে একজনকে। এছাড়াও ল্যাডার ইউনিট (বহুতল ভবন থেকে উদ্ধারকারী সিঁড়ি) ও মোটরসাইকেল ইউনিটও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করে।
কাঁচে ঘেরা পুরো ভবনটির বাইরে থেকে কাঁচ ভেঙে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভেতরকার ধোয়া বের করছেন এবং ল্যাডার দিয়ে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে এনেছেন।
ভবনের নিচে রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। আহতের দ্রুত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সেখানে। আহতদের অনেককেই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসার জন্য সব হাসপাতালে জরুরি সেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।