ম্যাচের শুরু থেকেই এস্পানিওলকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। বল দখলের লড়াইয়েও অনেক এগিয়ে ছিল স্বাগতিকেরা। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষ শিবির দিশেহারা। কিন্তু যার জন্য এত পরিশ্রম, কাঙ্ক্ষিত সেই গোলের দেখাই পাচ্ছিল না কাতালানরা। প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে মেসির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ২-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। ক্যাম্প ন্যু আরও একবার দেখল মেসি জাদু।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে একচেটিয়া এগিয়ে থাকা বার্সেলোনা আক্রমণে সুবিধা করতে পারছিল না। এরপরও ২১তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো স্বাগতিকরা। তবে ইভান রাকিতিচের জোরালো কোনাকুনি শট পোস্ট ঘেঁষে চলে যায়। আট মিনিট পর মেসির ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান দারুণ খেলতে থাকা এস্পানিওল গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধে বার্সেলোনার বেশ কিছু আক্রমণেও গোলের দেখা পায়নি ভালভার্দের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে মেসির দুর্দান্ত ফ্রি কিকে গোলের খরা কাটে। ৭১তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে মেসির শট হেডে ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন এস্পানিওলের সানচেজ। উল্টো তার মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় স্বাগতিকেরা।
৮৯তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। মাঝমাঠের আগে থেকে ক্রোয়াট মিডফিল্ডার রাকিতিচের লম্বা করে বাড়ানো থ্রু বল ধরে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মালকম। প্রথম ছোঁয়ায় নিচু শটে বল ঠিকানায় পাঠান পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসির এটা ৩১তম গোল।
যোগ করা সময়ে ডি-বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষের ট্যাকলে পড়ে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে ওই খেলোয়াড়কে লাথি মেরে বসেন মেসি। ভাগ্য ভালো তার, রেফারি কোনো কার্ড দেখাননি। ২৯ ম্যাচে ২১ জয় ও ছয় ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৬৯। ১৩ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এক ম্যাচ কম খেলা আতলেতিকো মাদ্রিদ। তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৫৪।