হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে হঠাৎ ফোন বেজে উঠলে কাজ ফেলেই তা রিসিভ করতে যান সকলেই। আর তখন যদি দেখা যায়, সে ফোনটি আসলে ধরার কোনো প্রয়োজনই ছিল, তখন মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। সারা দিনে এমন একাধিক স্প্যাম কলে বিরক্ত হতে হয় অনেককেই। কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস, জীবনবিমা, ক্রেডিট কার্ড সেবা এমন নানা জায়গা থেকে ফোন আসে। যা সাধারণত কাজের থেকে অকাজেরই বেশি হয়। কিন্তু এর থেকে মুক্তির উপায়? একটা নয়, বেশ কয়েকটি উপায়ে এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় ফোন কল থেকে দূরে থাকা সম্ভব। জেনে নিন, এমনই কিছু সহজ পদ্ধতি।
ডিএনডি সেবা
সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ পদ্ধতি। ডু নট ডিসটার্ব সার্ভিস। কীভাবে অ্যাকটিভেট করবেন? খুব সহজ। ১৯০৯-এ ফোন করুন অথবা ‘START 0’ টাইপ করে একই নম্বরে এসএমএস করুন। তাহলেই আপনার কাজ শেষ। ভয়েস কল অথবা এসএমএস-এর কয়েক ঘণ্টা পরই স্প্যাম কল আসা বন্ধ হয়ে যাবে।
কলারকে ব্লক করা
কোনো সেবা অ্যাকটিভেট করতে না চাইলেও সমস্যা নেই। আরো সহজ পদ্ধতি হলো শুধু অপ্রয়োজনীয় কলটির নম্বর দেখে সেটিকে ব্লক লিস্টে ফেলে দিন। তাছাড়া ট্রু কলারের মতো কোনো অ্যাপ ব্যবহার করলে ফোন রিসিভ করার আগেই দেখিয়ে দেয় সেটি স্প্যাম কল কিনা। ফোন বাজলে কলটি কেটে নম্বরটি ব্লক করে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে।
রিপোর্ট স্প্যাম ফিচারের ব্যবহার
আপনার স্মার্টফোনেই রিপোর্ট স্প্যাম অপশনটি পাবেন। যদি কোনো নম্বর থেকে অনবরত ফোন আসে তবে রিপোর্ট করতে পারবেন।
অনলাইন সাইটগুলোতে নিজের নম্বর নয়
নানা অনলাইন সাইটে সার্ফিং করতে গেলে আপনার মোবাইল নম্বরটি দিয়ে রেজিস্টার করতে বলে। আপনিও নানা তথ্য পেতে তা করে দেন। কিন্তু সব ওয়েবসাইটে মোবাইল নম্বর দেয়া মানে নিজের বিপদ বাড়ানো। কারণ অনেক ওয়েবসাইটই স্প্যামারদের মোবাইল নম্বর বিক্রি করে।
অ্যাপ ইনস্টল করুন
গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ করলেই একাধিক স্প্যাম কল ব্লকার অ্যাপ পাওয়া যাবে। সেটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। তাহলে আর অপ্রয়োজনীয় কল নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে না।