প্রতীকি ছবি
রাজধানীর ফার্মগেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ দুটির পরিচয় সনাক্ত করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে ‘হোটেল সম্রাট আবাসিক’র অষ্টম তলার একটি কক্ষে মরদেহ ২টি উদ্ধার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
এর আগের দিন সোমবার তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই হোটেলে উঠেছিলেন।
পুলিশ জানায়, নিহত দুইজনের মধ্যে একজনের নাম আমিনুল ইসলাম সজল। নিহত সজল তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী। অপরজনের নাম মরিয়ম আক্তার জেরিন। সে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। দু’জন পরস্পরকে ভালবাসতো বলে ইঙ্গিত পেয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, মরিয়মের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। তিনি ধানমন্ডির একটি মেসে থেকে পড়ালেখা করতেন। আমিনুলও ফার্মগেট এলাকায় মেসে থাকতেন। তিনি কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলার হরিপুর গ্রামের মারুফ হোসাইনের ছেলে। চার ভাইয়ের মধ্যে আমিনুল ছিলেন তৃতীয়।
তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে খবর পেয়ে ওই হোটেল কক্ষের দরজা ভেঙে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা সোমবার বিকালে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এ হোটেলে উঠেছিলেন।
এদিকে সম্রাট হোটেলের কর্মচারী রোস্তম আলী বলেন, সোমবার বিকালে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল কক্ষ ভাড়া নিয়েছিলেন ওই তরুণ-তরুণী। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তাদের রুমের দরজা বন্ধ ছিল। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ গিয়ে হোটেলের ৮ম তলার ৮০৮ নম্বর কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
তেজগাঁও থানার এসআই শরিফুল ইসলাম জানান, হোটেল কক্ষের খাটের ওপরে ছিল আমিনুল ইসলাম সজলের লাশ। আর ফ্লোরে পড়েছিল মরিয়ম আক্তার জেরিনের বিবস্ত্র মৃতদেহ। তাদের ব্যাগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। আমিনুল ইসলাম সজল তেজগাঁও সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও মরিয়ম আক্তার জেরিন বেসরকারি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, ওই হোটেল কক্ষ থেকে উত্তেজক ওষুধের খোসাও উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তেজক ওষুধ সেবনে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ছাড়া প্রাথমিক তদন্তে তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
তবে তারা কীভাবে মারা গেছেন তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মৃত্যুর কারণ জানতে দুইজনের মরদেহ শেরেবাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।