সংসদ কক্ষে দিগম্বর হয়ে তারস্বরে চিৎকার করছেন কয়েক জন নারী-পুরুষ৷ গায়ে সুতোটুকুও নেই। শরীরজুড়ে কালো অক্ষরে কিছু লেখা। সংসদে গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন চলাকালে ঘর ভরতি লোকের সামনে এমনই চমকপ্রদ ঘটনা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে।
ব্রেক্সিট জটে আটকে গিয়েছে টেরেসা মে’র ব্রিটেন। এনিয়ে সংসদে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলাকালীন পাশের ঘরের দিকে নজর যেতেই চোখ আটকে গেল আইনসভার সদস্যদের। দেখা গেল, স্বচ্ছ কাঁচের দেওয়ালের ওপারে ১১/১২ জন নারী ও পুরুষ৷ নগ্ন শরীরে কিছু লিখে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তা দেখেই চমকে গেলেন অনেকে। কিছুক্ষণের জন্য বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন তারা। ব্রেক্সিটের মতো গুরুগম্ভীর বিষয় থেকে একেবারে নগ্নতা! খেই হারিয়ে ফেললেন পার্লামেন্ট সদস্যরা।
সংসদ ভবনে ঢুকে একেবারে আলোচনা কক্ষের পাশে কেন এমন নগ্ন বিক্ষোভ যারা করেছেন তারা ব্রিটেনের অন্যতম আদিম উপজাতি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি।
দেশের সংসদীয় বিষয়ে তাদের তেমন ভূমিকা তেমন নেই। তারপরও ওই উপজাতির ১১ জন প্রতিনিধিই সংসদ ভবনে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি, ব্রেক্সিট চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ সংক্রান্ত আলোচনা। তাই পোশাক ছেড়ে তাদের সমবেত প্রতিবাদ, পরিবেশ বাঁচানোর কাজে বেশি তৎপর হতে হবে।
এমনকী প্রতিবাদকারীদের নগ্ন শরীর জুড়ে লেখা- ‘পরিবেশ বাঁচাও’, সকলের জন্য ভাবো’ইত্যাদি নানা শব্দ। আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, এমনিতেই এই উপজাতি সংকটের মুখে। তাদের থাকার উপযুক্ত পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এ নিয়ে উদাসীন।
তাদেরই একাংশ পার্লামেন্ট সদস্য হওয়ার পরও নজর দেওয়া হয় না, মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তাই এবার তারা নিজেদের প্রতিবাদ একেবারে প্রকাশ্যে এনেছেন। তাদের আশা, পার্লামেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নারী-পুরুষ নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এ দেখে যদি টনক নড়ে টেরেসা মে’র৷
তবে তাদের এই নগ্ন প্রতিবাদে কোনো কাজ হবে কিনা তা জানতে অরো বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন