আগুন নির্বাপন ও বিপদগ্রস্ত মানুষদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের জন্য বিশেষ ধরনের হেলিকপ্টার কেনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। ফায়ার সার্ভিসের জন্য বিশেষ হেলিকপ্টার কেনা হবে। যাতে তারা এই হেলিকপ্টার দিয়ে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ও মানুষদের উদ্ধার করতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আমাদের ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা রয়েছে। সেটা বনানীর ঘটনায় আপনারা দেখেছেন। কিভাবে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে।
তিনি বলেন, সেদিনের ঘটনটি ছিল আকস্মিক। তারা সময়মত উপস্থিত হয়েছে। কিন্তু উৎসুক জনতার কারণে আমাদের উদ্ধার অভিযান চালাতে বিলম্ব হয়েছে। উৎসুক জনতা ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে মারধর করেছে। অথচ ২৪তলা পর্যন্ত আমাদের লেদার ছিল। সক্ষমতা থাকা সত্বেও উৎসুক জনতার ভীড়ের কারণে ৫/১০মিনিট দেরিতে কাজ শুরু করতে পেরেছে। তাই আমি বলব, এই ধরণের দূর্ঘটনার ক্ষেত্রে যেন মানুষ অহেতুক ভীড় না করেন। তাহলে ফায়ার সার্ভিস ঠিকমত কাজ করতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা রয়েছে। তারা অনেক বড় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে। উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে।
বনানীর এফআর টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করায় আগুন আরো ছড়িয়ে গেছে বলা হচ্ছে এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অগ্নিকা-ের ভয়বহতা থেকে বাঁচতে মানুষ ছাদের ওপর উঠে গেছে। কেউ কেউ জানালা ভেঙ্গে লাফ দিচ্ছে। তাদের উদ্ধারের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। আমাদের ইয়ার ফোর্সের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে হেলিকপ্টার থেকে পানি দিয়ে আগুন নির্বাপনের কাজও করা হয়। মুলত আমরা সব শক্তি ব্যবহার করে আগুন নেভানো এবং বিপদগ্রস্থ লোকজনকে উদ্ধার করতে চেয়েছি।