বাংলাদেশের পায়রা বন্দর চীনের হাতে চলে যেতে পারে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই’র বিশেষ প্রতিবেদনে এমন শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে বন্দরটি হস্তগত করার ফন্দি আঁটছে চীন।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের রাষ্টায়ত্ত দুই প্রতিষ্ঠান চায়না হার্বার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ইতিমধ্যে পায়রা বন্দরের মূল কাঠামোসহ স্থাপনা নির্মাণে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করেছে। ‘
ঢাকার কর্মকর্তারা বলছেন, শ্রীলংকার হাম্বানটোটা বন্দরের মতো করেই পায়রা বন্দরের দখল নিতে চায় চীন। এ জন্য বিনিয়োগ-কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে দেশটি। হাম্বানটোটায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে চীন। পরে ঋণ ফেরত দিতে অসমর্থ হয়ে বন্দরটি ৯৯ বছরের জন্য চীনের হাতে লিজ দিতে বাধ্য হয় শ্রীলংকা।’
পায়রা বন্দরকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসেবে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। বলা হয়, পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দরের পর শ্রীলংকার হাম্বানটোটা এবং পায়রা বন্দরের দখলের মাধ্যমে নেকলেস আকৃতিতে ভারতকে ঘিরে ফেলতে চায় চীন। উপস্থিতি বাড়াতে চায় বঙ্গোপসাগরে। চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল চীনের ওয়ানবেল্ট ওয়ানবেল্ট উদ্যোগে যোগ দেয়া দেশগুলোর সম্মেলন হবে।
এএনআই’র দাবি, এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ছে চীন।
এএনআই’র অভিযোগ, ইতিপূর্বে মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, মালয়শিয়া ও পাকিস্তানের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পরোক্ষ হস্তক্ষেপ করেছে চীন। সবগুলো দেশই চীনের ওয়ানবেল্ট ওয়ানরোড প্রকল্পের সদস্য।